দুমকিতে শাশুরীকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক জামাতা গ্রেফতার

পটুয়াখালীর দুমকিতে পারিবারিক কলহের জেরে মেয়ের জামাইয়ের হাতে মোমেলা খাতুন (৫৫) নামের এক বৃদ্ধা শাশুরী খুনের ঘটনা ঘটেছে। গতশনিবার (১২ জুন) গভীর রাতে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি ঝড়ঝড়িয়াতলা গ্রামে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডটি ঘটেছে।

পুলিশ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরগরবদি ফেরীঘাট এলাকা থেকে ঘাতক জামাতা জামাল হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে। নিহতের স্বামী কাঞ্চন গাজী অভিযোগ করেন, তার বড় মেয়ে শিল্পী বেগমের সাথে ২০১১সালে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ধনাইয়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে জামাল হোসেন’র বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মেয়ে-জামাই তার বাড়িতে থেকে সংসার করছিল। তাদের সংসারে ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে।

ঢাকার কুতুবখালী বড় মাদ্রাসা রোডের একটি ভাড়া বাসায় থেকে ঘাতক জামাল হোটেল বয়’র চাকরি করতো। বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী-কন্যাদের ঢাকায় নিয়ে বসবাস করতে চাইলে মেয়ের সাথে জামাতার বিরোধ চলছিল।

গতশুক্রবার জামাল ঢাকা থেকে চরগরবদি গ্রামের বাড়িতে এসে মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেয়েকে মারধর শুরু করলে শশুর-শাশুরী বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘাতক জামাল হোসেন বেড়ার পাশ থেকে ধারালো দাও নিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে শাশুরী মোমেলা খাতুনকে (৫৫) গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।

আহতের ডাকচিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পর রাতেই বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পর সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে নিহতের ছোট ছেলে জামাল হোসেন জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:
শিবগঞ্জে জমি রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

এদিকে খুনের খবর জানাজানি হলে চরগরবদি ফেরীঘাট এলাকায় আত্মগোপনে থাকা ঘাতক জামালকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ বেলা ১টার দিকে ঘাতক জামলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘাতক জামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।