আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করলো সন্ত্রাসীরা, গ্রেফতার-৩

রাজশাহী মহানগর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান তেতুকে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় তারা তেতুর মাথায় হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দ্বার মাথায় আঘাত করে রক্তাত্ব জখম করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তবে তিনজন সন্ত্রাসীকে আটক করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন ভদ্রা মোড়ের পাশে মসজিদ সংলগ্ন একটি ৫তলা বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত মাসুদুর রহমান তেতু মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন বালিয়া পুকুর এলাকা (২৭) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও মহানগর সাবেক আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নেতা তেতুর ভাই মো. শফিউর রহমান বদি বাদি হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে কথিত সাংবাদিক নবুসহ ৩০/৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, মতিহার থানাধিন কাজলা বড়মসজিদ এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আকতারুজ্জামান টনি (৩৫), একই থানার জামির ওরফে মানিকের ছেলে মিনু ওরফে রাজু ওরফে মিঠু (২১), নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম এলাকার কাবিলের ছেলে জামির ওরফে মানিক।

আহত নেতা মো. মাসুদুর রহমান তেতু বলেন, গত রোববার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ভদ্রা মোড়ে অবস্থিত আমার ভাড়া করা বাড়ির নিচতলার (পার্কিং) গ্যারেজে বসে আমার ব্যবসার পার্টনারদের সাথে ব্যবসা সংক্লান্ত আলোচনা করছিলাম। হটাৎ ৩০/৩৫ জন যুবকের একটি দল গ্যারেজে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের মধ্যে নবু নামের একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে।

একই সময় টনি জনপ্রতি ১০ হাজার করে টাকা দাবি করে। কেন টাকা দেবো ? বলার সাথে সাথেই তারা এক সাথে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা আমার মাথায় আঘাত রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় আমার সাথে থাকা লোকজনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা একটি জিংফু (রাজ মেট্রো-হ-১১-১৪৪৮) মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।

তবে ৩জন সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পরে আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নগরীর ভদ্রা আবাসিকে অবস্থিত বারিন্দ্র মেডিকেল কলেজে নিয়ে ভর্তি করেন তারা। এ সময় আমার মাথার ক্ষত স্থানে ১০টি সেলাই দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছায় প্রায় ৫ মাস পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

তিনি আরও বলেন, আমাকে কেন হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হলো, তা আমার বোধগম্য নয়। তবে তিনি হামলার ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুরোধ জানান।

জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ভুক্তভোগীর ভাই বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ওই মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান ওসি।