জালিয়াতির মাধ্যমে মালিক সেজে জমি বিক্রি’র অভিযোগ

বরগুনার তালতলী থানার কথিত মাঝি আলী হোসেনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে অন্যের জায়গা নিজের নামে নিয়ে বিক্রী করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে ভুক্তভোগী পরিবাররা তালতলী প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এমন অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় অঙ্কুজানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ তালতলী থানায় কাজ করে আসছেন। আলী হোসেনকে পুলিশ প্রশাসনসহ সকলে থানার মাঝি উপাধি বলে ডাকছেন। সেই সুবাদে সে এলাকায় বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে চলেন।

আলী হোসেন পার্শ্ববতর্ মৃতু আমজেদ হোসেনের টিপসহি জালিয়াতি করে তার ১৮ শতাংশ জমি মাত্র ৪ হাজার টাকায় বিক্রির বায়নার কাগজ তৈরি করে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে মালিক সেজে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। অথচ আলী হোসেনের এই বায়না কাগজ তৈরি তারিখের ২ মাস আগে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর দাতা আমজেদ হোসেন মারা যান।

আরো পড়ুন:
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে সশরীরে পরীক্ষা নেবে জবি

এই ভুয়া দলিলের ৮বছর পর আলী হোসেনের গ্রহীতারা জমি দখলের জন্য এসে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করলে ভুক্তভোগীরা জানতে পারে। থানার কথিত মাঝি’র দাপটে বিভিন্ন মহলের অসহযোগীতায় মৃত আমজেদের বড় মেয়ে আকলিমা বেগম বাদী হয়ে আদালতে জাল-জালিয়াতির একটি মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।

মৃত আমজেদ হোসেনের স্ত্রী সেতারা বেগম সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী আলী হোসেন আমার স্বামীর টিপসই জালিয়াতি করে জমির বায়না তৈরী করেছেন। যখন জমির বায়না বা দলিল নিছে তার দুইমাস আগেই আমার স্বামী মারা গেছেন। আমি সরকারের কাছে এহেনো জালিয়াতির বিচারসহ আমার জমি আমি ফিরিয়ে পেতে চাই। এই আলী হোসেন তালতলী থানার ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে আলী হোসেন বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিক্তিহীন। ১৮ শতাংশ জমির বিষয়ে কোনো বায়না পত্র হয়নি। তবে তাদের থেকে ১৯৯৪-৯৫ সালে তিনি জমি কিনেছেন বলে জানান।