বদলগাছীতে ধর্ষক ইমামকে পুলিশে দেওয়ায় ধর্ষিতা পরিবারের উপর হামলা

বদলগাছীতে আরবি শিখতে গিয়ে ইমাম কতৃক ৪র্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় ধর্ষক ইমাম আবু হাসানকে পুলিশেরনিকট শোপর্দ করার অপরাধে ধর্ষকের পরিবার সহ তার আত্মীয় স্বজনরা পরিবারের  উপরে হামলা করে মারপিট করে। এতে এক গৃহবধূর হাত ভেঙ্গে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গ্রামবাসীর ভাস্যে জানা যায়, মিঠাপুর ইউপির উত্তর পাকুড়িয়া গ্রামের ইমাম আবু হাসানের কাছে আরবি শিখতে প্রাইভেট পড়ে প্রতিবেশি এক পরিবারের শিশু কন্যা ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী। শনিবার সকালে এই শিশু কন্যা আরবী পড়তে গেলে সে ইমাম কতৃক ধর্ষিত হয়। বিষয়টি জানার পর তার পরিবার সহ প্রতিবেশি লোকজন ইমাম হাসানকে তার বাসায় গিয়ে আটক করে মারপিট করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

আরো পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ল ১৪ জুন পর্যন্ত

এ বিষয়ে বদলগাছী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যা রাতে ধর্ষক পরিবারের লোকজন সহ তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধব একত্রিত হয়ে ধর্ষিতার পরিবার ও প্রতিবেশি লোকজনদের উপর তারা আক্রমণ করে এবং মারপিট করে। এ সময় মিন্টুর লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি মকলেছার রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগমের হাত ভেঙ্গে যায়। রাতে তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে তার ভাঙ্গা হাত বান্ডিজ করে বাড়ি নিয়ে আসে।

নাজমা বেগম সহ ধর্ষিতা পরিবারের লোকজন জানায়, ধর্ষককে ধরে দেওয়ার অপরাধে তারা আক্রমণ করছে বাদীপক্ষের লোকজনের উপর। ধর্ষিতা পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ সময় কোনো সংঘাত না করার জন্য নিষেধ করলে প্রতিবেশি মিন্টু তার লাঠি দিয়ে আঘাত করে নাজমা বেগমের ডান হাত ভেঙ্গে ফেলে।

এবং লাঠিশোটা নিয়ে ব্যাপক মোহরা শুরু করে। এই বিষয়টি জানার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংগীয় ফোর্সসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। ধর্ষিতা পরিবারের লোকজন আরও জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আসামী পক্ষের লোকজন শক্তিশালী দলবদ্ধ ভাবে লাঠিশোটা নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। রবিবার ভোর রাতে তারা আবারও লাঠিশোটা নিয়ে ফের আক্রমণ করতে আসে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাগিনা বকুল জানায় মিথ্যা অভিযোগে তারা ইমামকে ধরে মারপিট করে এবং পুলিশে দেয়। এবিষয়টি মেনে নেওয়ার মত না। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ কালে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে সংঘাত এড়াতে বদলগাছী থানার এস আই কামরুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি টিম সেখানে মোতায়েন রয়েছে। এবিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, রাত থেকেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মারামারি বা হাত ভাঙ্গার বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করা হয়নি। তারা অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।