জামাই বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে গেলেন বাবা

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর বড়পাড়া গ্রামে জামাই বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শ্বশুরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জামাই আরিফুল ইসলাম (২৩)। জামাই বাড়ি থেকে শ্বশুর রেজাউল করিমের বাড়ির দূরত্ব প্রায় পাচশো গজ দূরে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, সোমবার (৩ মে) রাতে তারাবির নামাজের সময় মেয়ের বাবা খুবজীপুর এম.হক ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরীয়ান রেজাউল করিম ভাড়াটে লোকজন নিয়ে জামাই আরিফুলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালান। এসময় আরিফুল ও তার স্বজনরা বাঁধা দিলে তাদের মারপিটসহ বাড়িঘর ভাংচুর করে মেয়ে রিমা খাতুনকে (১৮) জোর করে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন রেজাউল।

রিমার স্বামী আরিফুল বলেন, আমি ও রিমা পরস্পরকে ভালবাসি। দরিদ্র হওয়ায় আমার সাথে বিয়ে দিচ্ছিলেন না রিমার বাবা। এক পর্যায়ে রিমা এক কাপড়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় গত ২৪ ডিসেম্বন শরিয়ত ও আইন মোতাবেক বিয়ে করে সংসার করে আসছি।

খুবজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম দোলন বলেন, আমি দুই পরিবারকে এক করার প্রস্তুতি নিচ্ছি ঠিক এই মূহুর্তে রিমার বাবা রেজাউল জামাই বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি জানিয়ে রমজান, আলমাছ, রাজুসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন বলেন, শুধু গরিব হওয়ায় জামাই ও তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় রেজাউল।

রিমার বাবা রেজাউল পরিবারসহ পলাতক থাকায় এবং মুঠোফোন ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরিবারের অমতে বিয়ে করায় মেয়েকে জামাই বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে বাবা-মা। তবে মারপিট ও বাড়ি ভাংচুরের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।