বেড়া মডেল থানার এএস আই অমল চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পাবনার বেড়া মডেল থানা পুলিশের এ এস আই অমল চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে ডিউটির বাহিরে গিয়ে ব্যাচমেন্ট কে খুশি রাখতে ইউনিফর্মের জোরে দেখিয়ে জোরপূর্বক বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । ২৮ এপ্রিল বুধবার ১.২.৩. এবং ৪ নং ওর্য়াডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আলেয়া খাতুন ও তার পরিবার বেড়া প্রেসক্লাব বরাবর অভিযোগ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন । এ সময় আলেয়া খাতুন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আসসালামু আলাইকুম আমি মোছা: আলেয়া খাতুন বেড়া পৌর সভার ১,২,৩, এবং ৪ নং ওর্য়াডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর। আমি আপনাদের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বেড়া মডেল থানার এ এস আই অমল চন্দ্র বর্মনের ক্ষমতার অপব্যবহার প্রসঙ্গে কিছু কথা তুলে ধরলাম। গত ০৮/০৪/২০২১ ইং রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকার সময় মো:ইকবাল পিতা : মৃত হযরত গ্রাম বনগ্রাম দক্ষিণ,ফোন দিয়ে বলেন আপনাদের জমির বিষয়ে বেড়া মডেল থানার এ, এস আই কথা বলবেন। আমি বললাম আমার ফোনে কথা বলতে।

তখন ০১৭১৮৫৪৪৫৯২ উক্ত নম্বর হইতে কথা বলেন ০৮/০৪/২০২১ ইং রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২:১০ ঘটিকার সময়। প্রথমে আমাকে ভয় দেখায় যায়গা জরিপের কথা বলে।আমি বলি ঠিক আছে জরিপ করেন। তিনি বলেন জরিপের দিন দেখে নেব আপনাকে। আমি বললাম কি দেখবেন? তিনি বললেন সময় হলে দেখতে পারবেন। তারপর আমাকে বলেন যে,তোমার কত ক্ষমতা দেখে নেব। এই ভাবে তিনি বিভিন্ন ভাষায় আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে ভয়-ভীতি দেখায়। ঐ দিন আমি থানায় খোজ নেই এ,এস আই ওমর নামে খোজ নেই। সেখানের ডিউটি অফিসার বলেন ওমর নামে এখানে কোন পুলিশ নেই। তখন আমি বাড়ি চলে আসি।০৯/০৪/২০২১ ইং রোজ শুক্রবার আমার বাড়িতে ডেকে আনি ইকবালকে। তাকে বিস্তারিত বলি।

তারপর ইকবাল তার ফোন থেকে কথা বলায় এ এস আই অমল চন্দ্র বর্মন এর সাথে। তখন তিনি বললেন আমি ওমর নয় আমি অমল চন্দ্র বর্মন। তিনি বললেন থানায় এসে কথা বলেন। তারপর থানায় গিয়ে অমল চন্দ্র বর্মন কে উক্ত ফোন নম্বরটি দেখাই। তিনি বলেন দূরে থেকে তো কত কিছুই বলে। তখন জানতে পারি তিনি জায়গা কিনেছেন। তার নাম রশিদ। বললাম আপনার কে হয়? বলল ব্যাচমেন্ট হয়। গত ১৫/০৪/২০২১ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় কঠিন লোক ডাউনের ২য় দিন এবং ২য় রোজায় জরিপের জন্য বেড়া হাসপাতাল পশ্চিম সংলগ্ন ক্যালানের এস এ খতিয়ান ৬৪৮,দাগ নং ৫২,৫৩,৫৪ আর এস এ ১৬৪ এ এস আই অমল চন্দ্র বর্মন জরিপের জন্য আসেন।

জরিপের শুরুতেই আমি জানতে চাই এস. আই রশিদ বাদী কই?এ এস আই অমল চন্দ্র বর্মন বলেন আমি বাদীর পক্ষ। দলিল পত্র দেখতে থাকেন। জরিপের স্থানের ৩০-৩৫ জন লোক এক সাথে ছিল। অবন চর্ম বর্মন অ-সম্মান ভাবে কথাবার্তা বলেন এবং উগ্র মেজাজে আপনাকে দেখে নেব বলেন। কিছুক্ষন পর বাদী- বিবাদীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। অমল জরিপ কাজ বন্ধ করে দেন। ঐ দিন সন্ধ্যায় আমি ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে যাই। তাকে পাইনি, তিনি থানায় ছিলেন না। অমল থানায় ছিল। তিনি তার অঙ্গবঙ্গতে বুঝালো আমার পরিবারের ক্ষতি করবে।

২১/০৪/২০২১ ইং রোজ বুধবার আমার ক্যানেলের বাড়ী হইতে অমল আমার আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায়।আমার বাড়ীর সবাই আতঙ্কে আছি। আমার পরিবারের সদস্যরা সবাই ভয়ে দিন পার করছি। আর এই কর্মকান্ডে তথ্য বেড়া মডেল থানার ওসি সহ সার্কেল স্যার জানেন না। পুলিশের পোশাক পড়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। বন্ধু ব্যাচমেন্ট সাঁথিয়া থানাধীন নারিন্দায়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার মালিবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন। আমাদের জায়গার উপর তিনি হস্তক্ষেপ করছেন।

বন্ধুকে খুশি রাখার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন এএসআই অমল বর্মন। আমাদের পরিবারের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। অসহায় দিন যাপন করছি। পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করছি। বিষয়টি নজরে নিয়ে তদন্ত পূর্বক এ এস আই অমল চন্দ্র বর্মন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

এপ্রিল ২৮, ২০২১ at ১৬:৪১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এমআরএইস