এখন বাবু লালের সংসার চলবে কীভাবে

বৃদ্ধ মায়ের ওষুধ, সংসারের বাজার, সন্তানদের লেখাপড়া ও এনজিওর কিস্তির টাকা যোগান দিতে হয় শুধু চা বিক্রি করে। যেমন তেমন করে চলছিল সংসার। হঠাৎ করেই মহামারী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরু হয় লাগাতার লকডাউন। বন্ধ রাখতে হয় একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম চায়ের দোকানটি। যাতে করে বেশ কিছুদিন না খেয়েও পার করতে হয়েছে।

বলছিলাম পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়ার শ্রী বাবু লালের কথা। চা বিক্রি করে যা ইনকাম হতো তা দিয়ে স্ত্রী দুই সন্তানসহ বৃদ্ধ মাকে নিয়ে মোটামুটি চলছিল সংসার। এ দিয়ে সপ্তাহে গুনতে হতো এনজিওর কিস্তির টাকাও। এরিমধ্যে গতবছর করোনা মহামারিতে শুরু হয় লকডাউন যার কারনে বন্ধ রাখতে হয়েছে চায়ের দোকানটি। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা থেকে অনেকেই সাহায্য পেয়েছেন কিন্তু বাবু লালের ভাগ্যে এক কেজি চালও জোটেনি মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করতে করতে ৬৫ হাজার টাকারও বেশি হয়েছে। যা পরিশোধ করতে হচ্ছে চা বিক্রি করে।

বাবু লাল দেশ দর্পণকে বলেন, এখন আবার কাল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হবে। মাইনষের ধারের টাকা, বুড়া(বৃদ্ধ) মায়ের ওষুধ, সংসারের বাজার, এনজিওর কিস্তি কেমনে দিমু? মোর সংসার কেমনে চলবে? না খাইয়াই কি মরমু? সরকার যদি আমাগো দিকে একটু তাকায় তাইলে মা, বউ মাইয়াসহ বাইচ্চা(বেঁচে) থাকতে পারমু।

এপ্রিল ১৩, ২০২১ at ১৭:৫৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমজেইউ/এমআরএইস