সাবেক বিএনপি’র সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, এবারও নৌকা প্রতিক পেতে দৌঁড়ঝাপ করছেন

বরগুনার আমতলীর ৩নং আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ আওয়ামীলীগের দুর্দিনে বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গত ২০০২ ইং সালের ২৩ মে বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদারকে উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক হয়।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর কোন কুল কিনারা না পেয়ে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে নিজ কার্য হাসিল করে যাচ্ছেন ।

২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে নৌকার নমিনিশন নিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় তাহার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি পুনরায় আওয়ামীলীগের কাছে নৌকার নমিনিশনের জন্য উঠে পড়ে লেঘেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ হারুন অর রশিদ হাওলাদারকে নৌকা প্রতীক না দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

সাধারণ জনগণ ও প্রকৃত আওয়ামীদের প্রশ্ন, বি.এন.পি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ হাওলাদার কিভাবে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকার নমিনিশন পেল এ প্রশ্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের ।

উল্লেখ্য ২০০৩ সালে ইউপি নির্বাচনে বিএনপি নেতা মকবুল আহমেদ খান, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন আর আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্ধিতা করেন হারুন অর রশিদ হাওলাদার । ঐ নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ড: ওসমান ফারখ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান হেলিকপ্টার যোগে এসে আমতলীর কাঠালিয়া হাইস্কুল মাঠে মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার ও মকবুল আহমেদ খানের নির্বাচনী সভায় তাদের জন্য ভোট চায়।
কিন্তু ঐ নির্বাচনে জনগন তাদের প্রত্যাখ্যান করেন ।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যব¯থা গ্রহন ও তাকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।