জয়পুরহাটে সরকারি জমি দখল করে দোকান ও বাড়ি নির্মাণ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আঁওড়া মৌজায় ভূমি কার্যালয়ের ৬০ শতক জমি বেদখলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেদখলে যাওয়া ওই জমিতে দোকান ঘর ও বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে একটি মন্দিরও। দীর্ঘ দিন থেকেই এসব বসতবাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ করা হলেও উপজেলা প্রশাসন এখনো সেগুলো উচ্ছেদের কোন উদ্যোগ নেয়নি।

তবে আঁওড়া কালিমন্দিরের সভাপতি শ্রী মানিকচন্দ্র শীলের দাবি, জমিদার মনিন্দ্রনাথ তালুকদার চৌধুরী কালিমন্দিরের নামে ৪৪ শতক জমি দান করেছেন। সে মূলে তারা স্বত্ব দখলদার। যার উল্লেখ আছে, এমআরআর এবং সিএস পর্চায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালাই পৌরসভার আঁওড়া মহল্লায় অবস্থিত ভূমি কার্যালয়ের ওই ৬০ শতক জমিতে নির্মিত দোকানগুলোতে চলছে ব্যবসা । ঘরবাড়ি নির্মাণ করে গড়ে উঠেছে বসতি। মন্দিরে চলছে পূজা।

স্থানীয় ভূমি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালাই পৌরসভার আঁওড়া মৌজার জেএল নং- ৫৬, দাগ নং ১২৩৩/১৪০৩, ভিপি খতিয়ান নং-১, অংশে ৪২ শতাংশ এবং একই মৌজার দাগ নং ১২৩৪/১৪০২, অংশে ১৮ শতাংশ সরকারি জমি আছে। যার মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক। যথাযথ নজরদারির অভাবে উল্লিখিত দুই দাগের মোট ৬০ শতক জমি দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে।

সরকারের কাছ থেকে লিজ না নিয়ে বা সরকারি কোষাগারে কোন অর্থ জমা না দিয়েই যার যার মতো করে চলছে এসব দখলদারিত্ব। এলাকাবাসীর দাবি, বেদখল হওয়া সরকারি এ সম্পত্তিগুলো দ্রুত দখলমুক্ত করে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা লিজ দিলে-সরকার পেত রাজস্ব; জনগণ পেত বৈধতা।

আঁওড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম, আব্দুল ওয়াহেদ ফকির, তোয়জ উদ্দিন তোতা, জফের আলী, কোরবান আলী, মতিয়ার রহমান, শামছুল হকসহ অনেকে জানান, আঁওড়া মৌজার সরকারি এ ৬০ শতক জমি দিন দিন বেদখলে যাচ্ছে। যে যার মতো করে ঘরবাড়ি তৈরী করে বসবাস করছে। দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্মাণ করেছে মন্দির। এক্ষেত্রে কারও কোন বৈধতা না থাকলেও সরকারও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। তারা এ বিষয়ে এখনি সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ব্যবসায়ী বুলু মিয়া জানান, এ বাজারের সরকারি সম্পত্তিতে ৫-৬ বছর আগে তার পিতা একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা শুরু করেন। যা তার পিতা বর্তমানে তাকে দিয়েছেন। এখন তিনিই সেখানে ব্যবসা করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন জানান, সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখলের সুযোগ নাই। সরকারি সম্পত্তি কেউ অবৈধভাবে দখল করলে, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত তা দখলমুক্ত করা হবে।

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২০:৩৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএইচ/এমএএস