মান্দা উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে শালক-ভগ্নীপতির লড়াই

নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে মান্দা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোল্লা মোঃ এমদাদুল হক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মান্দা উপজেলার সাবেক সভাপতি মোঃ মকলেছুর রহমানকে।

আ’লীগ ও বিএনপির এই দুই প্রার্থী ছাড়াঅন্য কোনো রাজনৈতিক দল থেকে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আর কেউ মনোনয়ন দাখিল না করায় এই উপ-নির্বাচনে লড়াই হবে শুধু আ’লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। সম্পর্কে তারা আপন শালক ও দুলা ভাই। অর্থাৎ সম্পর্কে মকলেছুর রহমান শালক এবং এমদাদুল হক মোল্লা ভগ্নীপতি।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, এই উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন গত বুধবার ছিলো। এই উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ের জন্য দুইজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারা হলেন, আ’লীগের মোল্লা মো. এমদাদুল হক ও বিএনপির প্রার্থী মোখলেছুর রহমান।

আহসান হাবিব নামে এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র উঠালেও শেষ পর্যন্ত তিনি আর মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এর ফলে বাছাইয়ে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কেউ বাদ না পড়লে উপ-নির্বাচনে দুইজনের মধ্যেই ভোটের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। আগামী ২০ অক্টোবর ভোট গ্রহণ করা হবে। উপজেলায় মোট ৩লাখ ৯হাজার ৭৩জন ভোটার রয়েছেন বলে তিনি জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আ’লীগের প্রার্থী এমদাদুল হক বলেন, ‘নির্বাচিত হলে এলাকা থেকে সকল অন্যায়, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দূর করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাব। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করব।’

অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী মোখলেছার রহমান বলেন, ‘ভোটের প্রচার-প্রচারণা শুরু না হতেই আ’লীগের প্রার্থীর লোকজন বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু করেছে। ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’

গত ৬ জুলাই মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স.ম. জসিম উদ্দিন কোভিড-১৯- এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। স.ম. জসিমউদ্দিন ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন।

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১৯:১৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআই/এমএএস