প্রেমের নামে দেহভোগ, ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ এক লক্ষ বিশ হাজার

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের নামে দিনের পর দিন দেহভোগ করে এখন বিয়ে করবে না মর্মে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ গ্রাম্য শালিশে এমন মূল্য নির্ধারণ করা হলেও আমরা কোন টাকা পাইনি। ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার কেশবপুর এলাকায়।

ভূক্তভোগীর পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, কেশবপুর গ্রামের মৃত মন্টুর ছেলে রফিকুল ইসলাম রানেল কয়েকমাস আগে একই এলাকার সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারপর নানা ছলনায় মেয়েটির সাথে দিনের পর দিন শারিরিক সম্পর্ক করতে থাকে। এ ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাতে অভিযুক্ত রানেল মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে ডেকে নেয় নিজ বাড়িতে। চলতে থাকে সারারাত দেহভোগ। রাত শেষে মেয়েটিকে বাড়িতে পৌছে দেয় সে। সারারাত বাড়িতে না থাকায় পরিবারের চাপে মেয়েটি তার স্বজনদের কাছে বাধ্য হয়ে জানান এসব কৃতকর্মের কথা। দিনের আলো ছড়িয়ে যেতে চারপাশে গুঞ্জন উঠে এ ঘটনার। অভিযুক্ত রানেল এর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে ডাকা হয় গ্রাম্য শালিশ। শালিশে মেয়েটি রানেলকে বিয়ে করতে চাইলেও সে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে লিখিত স্বাক্ষর নিয়ে ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। যা এখনও পরিশোধ করা হয়নি।

ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, রানেলের সাথে আমার প্রেমের সর্ম্পক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে গত বুধবার রাতে সে আমাকে ফোন করে ডাকে। এরপর আমি সরল বিশ্বাসে তাদের বাড়িতে যাই। বাড়িতে যাওয়ার পর সে আমার সাথে সারারাত ধরে শারীরিক সর্ম্পক করে। ভোরে আবার আমাকে আমার বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয়। সকালে পরিবারের চাপে আমি সব খুলে বলি। ঘটনাটি জানাজানি হলে বাবা আমাকে বাড়িতে রাখতে চায় না। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করবে না। এখন মরন ছাড়া আমার কোন গতি নাই। কিশোরীর ফুপু বলেন, রাতে আমাদের মেয়ে বাড়িতে না থাকায় আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। ভোরে সে বাড়িতে ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে এ ঘটনার কথা আমরা জানতে পারি।

অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রানেল এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহƒত মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। রানেল এর ছোট ভাই রাহেল বলেন, ঘটনার পর থেকে ভাইয়ের ফোন বন্ধ আছ। শালিসে আমার ভাইয়ের এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। আমরা এক মাস সময় নিয়েছি।