নওগাঁয় পুকুর খননের মাটি দিয়ে রাস্তার দু’পাশ ভরাট, জলাবদ্ধতায় বিপাকে ১৫ পরিবার

নওগাঁর রাণীনগরে লোকাল রাস্তার পাশে পুকুর খনন করে রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাট করে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে উপজেলার পৌতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা । এমনকি গবাদী পশু নিয়েও চরম বেকায়দায় জীবন-যাপন করছেন ঐ গ্রামের বেশ কিছু পরিবার । একটু বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে যায় বাড়ির খলিয়ানে জলাবদ্ধতার জন্য অনেকের ঘরের মধ্যেও প্রবেশ করছে পানি। যার কারুনে চরম আতংকে রয়েছেন শিশু ও বয়স্ক মানূষদের চলাচল নিয়ে আর এই কষ্টের বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেল্লেন ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ।

উপজেলার বড়গাছা ইউপির পৌতাপাড়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া এক মাত্র লোকাল রাস্তা। যে রাস্তা দিয়েই গ্রামের ভিতরে প্রবেশ ও উত্তর দিকে মাঠে চলাচল করেন পৌতাপাড়া গ্রামবাসি কিন্তু রাস্তার পাশেই শ্রেণী পরিবর্তন না করেই ওই গ্রামের প্রভাবশালী শুকবর হাজীর ছেলে বুলবুল গং এবং মৃত সাকিম প্রাং এর স্ত্রী পুকুর খনন করে রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাট করে দেওয়া এবং পাইপ গুলো তুলে ফেলায় পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে যার কারুনে একটু বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে যায় ফলে রাসÍার পাশের বাড়ি গুলোতে হাটু পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই পরিবার গুলোর। মানুষ চলাচল ছাড়াও গবাদী পশুগুলো নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন তারা। এছাড়াও শিশু ও বয়স্ক লোকদের নিয়ে চরম শংকায় ভুগছেন রাস্তার পাশের বাড়ি ওয়ালারা।

এ বিষয়ে ওই গ্রামের মুসলিম (৭০) জানান, একটু বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে যেয়ে ঘরের মধ্যেও পানি চলে যায় যার জন্য আমরা পরিবারের লোকজন ও গবাদী পশুগুলো নিয়ে চরম বিপদের মধ্যে বসবাস করছি।

ওই গ্রামের আলাউদ্দিন,সাহাদ,আরিফ সহ ভুক্তভুগিরা বলেন, বৃষ্টি হলেই দুই পাশের বাড়ির সব পানি রাস্তায় নেমে আসে যার জন্য রাস্তায় পানি জমা হয়ে বাড়ির খলিয়ান ডুবে যায় । ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে বেশ শংকায় থাকি ।

এবিষয়ে পুকুর খনন কারী বুলবুলের সাথে মুঠো ফোনে কথা বল্লে তিনি বলেন, ওদের বাড়ি গুলো নিচু জায় যার জন্য ওখানে পানি জমে যায়।

এ বিষয়ে ৫ নং বড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা আমাকে কেউ বলেও নাই আমি বিষয়টি দেখে যত তারাতারী সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করবো।

দেশদর্পণ/আক/মাক/এমএআর