লালপুরে রাস্তার গাছ কেটে স’মিলে নেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের গাছ কেটে স’মিলে পাঠনোর প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আড়বাব ইউপির সালামপুর বাজার এলাকায় স্থানীয় শতাধিক লোকজন এই মাববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে রাতেই লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যা আমিরন বেগম।
এর আগে দুপুরে আড়বাব ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ মেহেরুল ইসলাম ঝড়ে ভেঙ্গেপড়া একটি শিশুগাছ ভ্যান যোগে সালামপুর বাজারস্থ আতাউর রহমানের স’মিলে পাঠালে স্থানীয় লোকজন গাছটি আটকিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় মানবন্ধনে ইউপি সদস্য এক্লাস ও ইউপি সদস্যা আমিরন বেগম বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে তারা বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আড়বাব ইউপির বিভিন্ন রাস্তার গাছ কেটে বিক্রয় ও নিজ বাড়ির আসবাবপত্র তৈরী করে আসছেন। সম্প্রতি আম্পানে লালপুর-আব্দুলপুর, সুন্দরগর, সালামপুর-গোপালপুর সড়কের দুই পাশে ভেঙ্গে পড়া ১৩টি শিশু গাছ টেন্ডারে বিক্রয় করার কথা বলে গ্রামপুলিশ দিয়ে কেটে কিছু গাছ ইউপি চত্বরে রাখলেও দামিগাছ গুলো সালামপুর বাজারের আতাউরের স’মিলে পাঠয় এসময় স্থানীয় লোকজন রাস্তার গাছগুলি আটক করে।’
স’মিল মালিক আতাউর বলেন, ‘দুইটি শিশু গাছ আমার মিলে রাখা হয় তখন আমি মিলে ছিলাম না। তবে এই গাছ কে রেখেছে আমি জানিনা ।’
আড়বাব ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন,‘ঝড়ে রাস্তার গাছগুলি উপরে পরে রাস্তায় জনসাধরননের চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিলো। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কে অবগত করলে তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে রাস্তার গাছ গুলি কাটার নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা বেলাল হোসেনের পরামর্শে আমার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুুলিশ দিয়ে গাছ গুলি কেটে ইউপি চত্বরে রাখার জন্য গ্রাম পুলিশদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনেক গাছ আনাও হয়েছে কিন্তু ঐ দুুইটি গাছ কাঠমিলে কে বা কাহারা রেখেছে তা আমার জানা নেই। এইটা একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না।
ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, ঝড়ে পড়া গাছগুলো ইউপি চেয়াম্যানের হেফাজতে থাকার কথা থাকলেও ডাল-পালা সহ ৮পিচ শিশুগাছ আতাউরের স’মিলে এবং ৩পিস শিশুগাছ ও ২ পিচ রেইনটি কড়ই গাছ স্থানীয় রবিউল ইসলামের বাড়ির পাশে রাখা রাখা হয়েছে যা আমার জানার বাইরে ছিলো।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন,‘এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।’