লালপুরে প্রকৃত ভাতাভোগী বাছাইয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসন

এবার নাটোরের লালপুরে প্রকৃত ভাতাভোগী যাচাই-বাছাইয়ে মাঠে নেমেছে তৃণমূলে উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন সময় অর্থের বিনিময়ে বয়স্ক, স্বামী নিগৃহীতা-বিধবাও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী নির্বাচন, অযোগ্য ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করা, পক্ষপাতিত্বসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অনিয়ম বন্ধে নিতিমালা অনুযায়ী মাঠ পর্যায় থেকে উন্মুক্তভাবে যাচাই-বাছাই করে সঠিক ভাতাভোগী নির্বাচন করতে সরেজমিনে মাঠে নেমেছে লালপুর উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, ‘চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অসচ্ছল দরিদ্র বয়স্ক (৬৯৭), বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা (৬৫২), প্রতিন্ধী (১৬৮৫) জনকে ভাতা কর্মসূচীর আওতায় আনা হবে।

বুধবার (১২ ফেব্রæয়ারি) সকালে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওয়ালিয়া ইউপির প্রকৃত বয়স্ক, স্বামী নিগৃহীতা-বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী নির্বাচন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসির ৫০ উত্তরপত্র পেয়ে থানায় জমা দিলেন সিএনজি চালক

ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দিনব্যাপী ভাতাভোগী যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, লালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার বানু, সমাজসেবা অফিসার রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মমিনুল হকসহ সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ। ভাতাভোগী নির্বাচনে অংশগ্রহণকরী মোট প্রতিবন্ধী ২৬০জন, অসচ্ছল বয়স্ক ৭৯ জন ও বিধবা ৬৫জন কে চুড়ান্ত করা হয়েছে।

এসময় লালপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘সঠিক ভাতাভোগী নির্বাচনে লালপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভাতাভোগী নির্বাচন করা হচ্ছে। এতে তৃণমূল থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃতদেরই এ সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।

তবে এই পদ্ধতিতে ভাতাভোগী নির্বাচনে অংশগ্রহণকরী নুরজাহান বেওয়া, আবু তাহের, মুকুল হোসেন যাচাই-বাছাইয়ে স্বচ্ছতার কথা স্বীকার করে বলেন,‘এবছর কোন অনিয়ম এবং অর্থ ছাড়াই বাছাই প্রক্রিয়ায় ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে টাকার মাধ্যমে অনেক অযোগ্যরাও ভাতা পেয়েছেন।

দেশদর্পণ/আরটি/এসজে