দাম ভালো পাওয়ায় লালপুরে রসুন চাষে ব্যস্ত চাষীরা

দাম ভালো পাওয়ায় ও ফলন বেশি হওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জুড়ে শীত মৌসুমের বিনা চাষে অন্যতম অর্থকরী ফসল রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। রসুন চাষকে ঘিরে গ্রামীন জীবনেও পড়েছে প্রভাব।

জানাগেছে, বিগত ৩বছর যাবত রসুনের সঠিক দাম না পাওয়ায় এই উপজেলার কৃষকরা রসুন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ছিলো।অবশেষে গত বছর রসুনের দাম ভালো পাওয়ায় চালতি মৌসুমে এই উপজেলার কৃষকরা আবার উজ্জিবিত হয়ে অনেকটা উৎসুব মুখর পরিবেশে রসুন চাষ শুরু করেছেন।

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,‘গত বছর লালপুর উপজেলায় ১হাজার১৫০ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছিলো। চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ২হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমে উপজেলার প্রত্যেকটি মাঠে বিনা চাষে রসুন চাষে দারুন ব্যস্ত কৃষকরা। শীতের শিশির মাখা কাকডাকা ভোরে মাঠে মাঠে রসুনের বীজ রোপন করছেন কৃষকরা।

আর কৃষকের বাড়িতে বাড়িতে কৃষাণীরা রসুন রোপনের জন্য রসুন বীজ ছোড়ানোর কাজ করছেন।সবমিলিয়ে রসুন রোপনের কাজে উপজেলার কৃষক পরিবারের যেন দাম ফেলার ফুরসত টুকু নেই। মাঠে শত ব্যস্ত দেখেও কথা বলতে চাইলে রসুন চাষী রায়হান বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধান কাটাশেষে বিনা চাষে জমিতে রসুনের কোয়া লাগাই তাতে জমি চাষের প্রয়োজন হয়না, বেশ কয় বছর ধরে আমরা রসুন চাষ করে দাম না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলাম।

এবছর রসুনের দাম ভালো পাওয়ায় আমরা আবার রসুন চাষ করছি। এবছর প্রতিবিঘা রসুন চাষে শ্রমিক, বীজ, সার দিয়ে ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। দাম ভালো পেলে আগামিতে রসুনের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন:
চিকিৎসকের অবহেলায় হাসপাতাল ফটকে সন্তান প্রসব
আজ রাতেই জানা যাবে কার হাতে উঠবে ব্যালন ডি অর

ওয়ালিয়া গ্রামের মোজাফর হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, ‘দাম ভালো পাওয়ায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি। জমি চাষ দিতে হয়না, পোকামাকড়ের আক্রমন কম হয় এবং ফলন ভালো হওয়ায় আমরা রসুন চাষ করে থাকি। তবে উৎপাদিত রসুনের দাম ভালো পেলে আগামিতে আরো বেশি রসুনের চাষ করবেন বলে তিনি জানান।

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন,‘চলতি রবি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ২হাজার৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষমাত্রার অধিক জমিতে রসুনের চাষ হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গত বছরের উৎপাদিত রসুনের দাম ভালো পাওয়া এবছর কৃষকরা ব্যাপক হারে রসুন চাষ করছে। রসুন চাষে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

০২ ডিসেম্বর,২০১৯  at ১৬:৫৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/দেপ্র/এজে