যশোরের মণিরামপুরে মনিরুজ্জামান মনির (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে থানার এসআই জহির রায়হান মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পুলিশ মরদেহের পরনের টাওজার থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। সেখানে জীবনের নানা ভুল সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছেন মনির। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মনিরুজ্জামান মনির উপজেলার ঘুঘুরাইল গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্রাকের প্রগ্রামার অর্গানাইজার হিসেবে রাজশাহী জেলায় কর্মরত ছিলেন। ৫-৬ মাস আগে চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফেরেন তিনি।
চিরকুটে মনির উল্লেখ করেছেন, চাকরি ছাড়া, জমি বিক্রি করা, প্রথম বছর বিয়ে না করে যৌবন হারানো, বড় গাড়ি কেনা, বাড়ির ফার্নিচার তৈরি করা, গুরুর কথা অমান্য করা, পাপী পরিচালকের কথা শোনা, পাগলামি করে টাকা খরচ করা, স্বার্থপর না হয়ে এবং ঘরে বসে সময় নষ্ট করা এসবই ছিল ভুল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস আলী বলেন, চাকরি ছাড়ার পর থেকে অনেকটা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে মনির। সবসময় আনমনা হয়ে ঘরে বসে থাকত সে, কারও সাথে মিশত না। এসব দেখে বাড়ির লোকজন তাকে মানসিক ডাক্তার দেখাচ্ছিলেন।
গত দুই তিন দিন ধরে হাতে দড়ি নিয়ে ঘুরত সে। সর্বশেষ বাজারের উদ্দেশে রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয় মনির। রাতে বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধ্যান মেলেনি। সকালে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি বাগানে কাঁঠাল গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
মণিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান বলেন, হতাশ হয়ে মনির আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আগস্ট ২৬, ২০১৯ at ১৩:০১:৫৬(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বএইচ/আজা