অর্থমন্ত্রী বলেন, ৫১৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে আইএমএফ। ছয়টি সহজ কিস্তিতে ২০২৬ সালে ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণের অর্থ দেয়া হবে। সুদের হার হবে ফ্লোটিং। অর্থাৎ ঋণটি যখন ম্যাচুয়র হবে তখনকার বাজারদর অনুযায়ী সুদের হার হবে। আমরা হিসেব করে দেখেছি, গড়ে আমাদের সুদের হার পড়বে ২ দশমিক ২ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে তিন প্রকারের ঋণ দেয়া হবে। সেগুলো হচ্ছে ইসিএফ, ইএফএফ ও আরএসএফ। এই তিন প্রকার মিলিয়ে আমাদের ঋণের পরিমাণ। আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, সেগুলো আমাদের নিজেদের জন্যই বাস্তবায়ন করা দরকার। অনেকেই বলেছিল ঋণটি পাওয়া যাবে না। কারণ তারা যে শর্ত দিবে তা আমরা পূরণ করতে পারব না ও ঋণও পাওয়া যাবে না। আমাদের এই আশঙ্কা গেছে। তারা তেমন কোনো শর্ত দেয় নাই। তারা যেসব শর্ত দিয়েছে সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে পালন করতেছি। ঋণটি আমরা যেভাবে চেয়েছি ঠিক সেভাবেই পেয়েছি। এখানে কোনো কর্তন হয় নাই, যোগ করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রিজার্ভ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩৫-৩৬ বিলিয়নের মতো রিজার্ভ রয়েছে। আমরা ২০০৯ সালে যখন শুরু করি তখন মাত্র ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ছিল। আমরা সেটিকে ৪৮-৪৯ বিলিয়নে নিয়ে গেছি। কারও অবস্থা ভালো নেই জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন কারও অবস্থা ভালো নেই। তারপরও আমাদের অবস্থা অন্যদের তুলনায় ভালো। আশেপাশের সকল দেশগুলোর রিজার্ভের পরিসংখ্যান দেখতে পারেন।
নভেম্বর ০৯,২০২২ at ১৭:৫৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস