ইবি অভয়ারণ্যের দুই দিনব্যাপী শ্রমজীবীদের মাঝে বিনামূল্যে বৃক্ষ বিতরণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন অভয়ারণ্যের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী শ্রমজীবীদের মাঝে বিনামূল্যে বৃক্ষ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটার সময় বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচি ‘সবুজের যত্ন’ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও অভয়ারণ্যের উপদেষ্টা ড. শাহাজাহান মন্ডল।

কর্মসূচিতে অঙ্কুর নার্সারির পৃষ্ঠপোষকতায় পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরি এবং শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে গাছ উপহার এবং গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এরপর একে একে প্রায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভ্যানচালক, ফুটপাতের খাবার বিক্রেতা ও অসহায় অসচ্ছল পরিবারকে শতাধিকের বেশি ফলজ  আম, আমড়া, মাল্টা ও পেয়ারা গাছ বিতরণ করে অভয়ারণ্যের সেচ্ছাসেবীরা। “সবুজের যত্ন” আয়োজনের ফোটোগ্রাফিক পার্টনার হিসেবে “রিজওয়ান ক্রিয়েটিভ ফোটোগ্রাফি” উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয় অভয়ারণ্যের শ্রমজীবীদের মাঝে গাছ বিতরন কর্মসূচি। ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ঝালমুড়িওয়ালা, দোকানদার ও ভ্যানওয়ালাসহ প্রায় পঞ্চাশোর্ধ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় আম, আমড়া, পেয়ারা ও মাল্টা গাছ। ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি ভ্যানে ভ্যানে এবং ফুটপাতে ছিলো সবুজের সমারোহ।

এ বিষয়ে অভয়ারণ্যের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাহাজাহান মন্ডল বলেন, “নিশ্চয় আমাদের পরিবেশের যত্ন নেওয়া উচিত। এই পরিবেশ টিকে আছে বলেই আমরা টিকে আছি। বাংলাদেশের সংবিধানেও বলা হয়েছে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে পরিবেশের যত্ন নিতে এবং জলবায়ু রক্ষার কথা। এজন্য প্রয়োজন সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অভয়ারণ্যকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করার জন্য।”

অভয়ারণ্যের সভাপতি গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী  ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন “আমরা বরাংবরই চেয়েছি সকলকে জানাতে এই পরিবেশ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি সম্পর্কের বড় একটা দায় পরিবেশের সাথে জীবের। এই সম্পর্ক রক্ষা করতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি পরিবেশের জন্যে।  তারই একটা ছোট আয়োজন এই ‘সবুজের যত্ন’।”

 সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিন ইন্তেসাফ অর্প বলেন, “পরিবেশেকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমাদের আশেপাশের খেটে খাওয়া মানুষেরা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অনেক সময় মৌসুমি ফলও তারা খেতে পারেননা। তাই আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে একই সাথে শ্রমজীবী এবং পরিবেশকে ভালো কিছু উপহার দিচ্ছি।”