রাবি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থী পেলেই পেটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, বিজিবি মোতায়েন

“পরিস্থিতি সামলাতে রাজশাহীতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ এখনো চলছে। শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হলেও রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শিক্ষার্থী পেলেই আটকে পেটাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, বিনোদপুর বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছেন বিজিবি সদস্যরা। সেখানে বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসময় তারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের অগ্নিসংযোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, অনেক আগেই অভিযান চালানো শুরু করে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সবশেষ বিজিবি নামাতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের সামনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, এদিন সৈয়দপুর থেকে রাজশাহী আসছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্র। বাসে তার সঙ্গে সুপারভাইজার ‘বাজে’ আচরণ করেন। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে পৌঁছালে ওই শিক্ষার্থী বাস সুপারভাইজারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় বিনোদপুরের এক স্থানীয় বাকবিতণ্ডায় যুক্ত হন। স্থানীয় ব্যক্তি ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন। এর সূত্র ধরে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয়রা কয়েক দফা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তারা এসময় পেট্রোল বোমা ছোড়ে বলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।