৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, বিসিআইসির ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট

ছবি- সংগৃহীত।

সরকারের ৫৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যাদের বিরুদ্ধে, তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনীহার কারণ আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউরিয়া সার আমদানির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এ সার পরিবহণের জন্য ড্রাই বাল্ক শিপিং প্রাইভেট লিমিটেডের স্থানীয় প্রতিনিধি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের সঙ্গে ১৩টি চুক্তি করে সরকার।

চুক্তি অনুযায়ী বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে সার আমদানির পর জাহাজ থেকে খালাস করে তা সরকারি গুদামে পৌঁছে দেওয়ার কথা এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। আমদানি করা সারের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৪ টন। কিন্তু গুদামে সরবরাহ করা হয় ৩ লাখ ২১ হাজার ৩২৮ টন সার। অর্থাৎ বিদেশ থেকে আনা হলেও ৭১ হাজার ৯১৬ টন সার গুদামে দেওয়া হয়নি।

অভিযোগ আছে, এসব সার বেসরকারিভাবে বিক্রি করে দিয়েছে পোটন ট্রেডার্স। জানা যায়, এ সার সরবরাহের জন্য পোটন ট্রেডার্সকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কয়েক দফা চিঠি দিলেও তাতে কোনো গুরুত্ব দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর পোটন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুমতি চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বিসিআইসি। তবে ১৪ দিনেও নাকি সেই চিঠি মন্ত্রীর টেবিলে পৌঁছেনি।

আরো পড়ুন:
>ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি’র শীতকালীন শীতবস্ত্র বিতরণ ও প্রশিক্ষণ পরিদর্শন 
>ডলারের দাম বাড়লো ১ টাকা
>বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলায় বুশরার জামিন শুনানি আজ

অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনীহাই এর কারণ কিনা, এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

জানুয়ারি ০৫.২০২৩ at ১১:৫৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর