বন্ধ হচ্ছে খোলা তেল বিক্রি

নতুন বছর থেকে বাজারে খোলা তেল বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। অর্থাৎ সান ফ্লাওয়ার ওয়েল, সয়াবিন, পামওয়েলসহ সব ধরনের তেল ড্রামে সরবরাহ করে বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরিষার তেল টিনের জারে বিক্রি করা যাবে। এই নির্দেশনা অমান্য করলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা বিধান রয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মো. রিয়াজুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে সরকার ড্রামে ভোজ্য তেল ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। কোনো তেলই খোলা রেখে বিক্রি করতে পারবে না। নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের তেল বিক্রি করে। কিন্তু কারা বিক্রি করে তার নাম ঠিকানা দেয়া থাকে না। ফলে আমরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি না। তিন কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথমত নোংরা পরিবেশে বাজারজাত করা, মান ঠিক না থাকা ও সরবরাহকারীদের ঠিকানা থাকে না। ফলে এমন সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে। এবিষয়ে সকল উৎপাদক ও পরিবেশক পর্যায়ে অবগত করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ফুড গ্রেড বোতল, প্লাস্টিক ফয়েল ও প্যাকেটে বাজারজাত নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন :
>কালীগঞ্জে সরকারীভাবে ধান ক্রয়ে, লটারীতে কৃষক নির্বাচিত
>সেনাপ্রধান শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শন ও শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন
>ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক রিপোর্ট চাইল সাদ্দাম-ইনান

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইং উপ-সচিব হারুন অর রশিদ বলেন, ২৫০ মিলিলিটার থেকে ২০-৩০ লিটার পর্যন্ত জারে করে ভোজ্যতেল বিক্রি করা হবে। এছাড়া ছোট প্যাকেটগুলোও বাজারে থাকবে। তবে এতে তেলের দাম খুব বেশি বাড়বে না। সর্বোচ্চ ২ থেকে ৪ শতাংশ বাড়তে পারে।

এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, সরকারকে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। কারণ এভাবে তেল উৎপাদন করার মতো অনেক ফ্যাক্টরি এখনো প্রস্তুত নয়। এটা হলে বাজারে একটি ‘ক্রাইসিস’ তৈরি হতে পারে।

নিম্ন আয়ের মানুষরা যেন স্বল্প পরিমাণে তেল কিনতে পারেন সে জন্য ছোট প্যাকেট করে বিক্রির ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর জন্য এক মাসের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে উৎপাদকদের পরামর্শও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ডিসেম্বর ২৭.২০২২ at ১৯:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এমএইচ