পেঁয়াজের দাম একদিনেই কেজিতে ১০ টাকা বাড়ল

ভারত থেকে প্রায় দুই মাস ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। দেশীয় পেঁয়াজ চাষিদের বাঁচাতে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সুফলও পাচ্ছে কৃষকরা। এছাড়া এ বছর দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত উৎপাদনও হয়েছে। উৎপাদন ভালো হওয়ার পরেও আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কারসাজির মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। শুধুমাত্র গত একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। তবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের মোকামে দাম বাড়ার কারণে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ছে।

গত একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকায়। অন্যদিকে আরেক ক্যাটাগরির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। বাজারে বর্তমানে কোনো ধরনের আমদানি করা পেঁয়াজ নেই। যা আছে সবই দেশীয় পেঁয়াজ। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।

ফলে বছরজুড়ে কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আমদানি করা হয় বাকি ৪ লাখ টন। মূলত আমদানিকৃত ৪ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর বড় প্রভাব ফেলে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। সামনে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত কারসাজির মাধ্যমে ক্রেতাদের পকেট কাটার জন্য পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। সরবরাহ ও মজুদেও ঘাটতি নেই। প্রশাসনকে অনুরোধ করব যাতে নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে পেঁয়াজের দামের লাগাম টানা হয়। কারণ পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।

জুন ২৯,২০২২ at ১৩:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/রারি