নির্বাচনী সহিংসতায় শার্শায় আরও এক জনের মৃত্যু

সাতমাইল থেকে বাগআচড়া বাজার পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে খন্ড খন্ড মিছিল করছে আনারস প্রতিকের সমর্থকরা।

নির্বাচনী সহিংসতায় যশোরের শার্শায় আহত চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় শার্শায় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাভারন সাতক্ষীরা মহাসড়কের সাতমাইল থেকে বাগআঁচড়া বাজার পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে খন্ড খন্ড মিছিল করছে আনারস প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমর্থকরা। সেখানে পুলিশের টহল অব্যহত রয়েছে।

নিহত মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ধাবক (৪২) বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকার আব্দুল খালেক খতিব ধাবকের ছেলে এবং বাগআঁচড়া ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমর্থক ছিলেন।

১৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে নৌকার সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী সহিংসতায় মোস্তাক ধাবক ও তার পিতা খতিব ধাবকসহ তিনজন আহত হয়। এ ব্যাপারে শার্শা থানায় উভয় পক্ষ থেকে দুইটি মামলা করা হয় বলে শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান।

শনিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে তার চাচাতো ভাই শফিক ধাবক নিশ্চিত করেন। এদিকে এক সপ্তায় সীমান্তবর্তী গোগা, পুটখালি ও উলাশি ইউনিয়নে নৌকার সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতমাইল থেকে বাগআচড়া বাজার পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে খন্ড খন্ড মিছিল করছে আনারস প্রতিকের সমর্থকরা। ছবি: দেশ দর্পণ

পুলিশি টহল অব্যহত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান দাবি করে জানান, মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের পর বুধবার নৌকার সমর্থক আরিনা বেগম ও স্বতন্ত্র আনারসের সমর্থক শফিক ধাবক বাদি হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। মোস্তাক ধাবকের মৃত্যুর পর শফিক ধাবকের দেওয়া মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে।

নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরানের আহবানে বেলা সাড়ে ১০টার পর মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারিরা ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়।

জুয়েল ইমরান বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কর্মকান্ড কাউকে করতে দেওয়া হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড়া পাবে না। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৬ নভেম্বর এখানে সহিংসতা ঘটনা ঘটে। পরদিন আমরা মামলা নিয়েছি। আসামি আটক করা হয়েছে। তারা জেলহাজতে আছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আস্বস্ত করছি আপনারা সুবিচার পাবেন। ২৮তারিখ যাতে সবাই ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তার সব ব্যবস্থা করা হবে।

নভেম্বর ২০.২০২১ at ১৬:৫২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আক/জআ