পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে ১০ লাখ টাকা দাবি করা প্রতারক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার প্রতারক আবুল কাশেম। ছবি : দেশ দর্পণ।

পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়ার নামে এক যুবকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করা প্রতারক চক্রের সদস্য আবুল কাশেমকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৭ নভেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আবুল কাশেম দৌলতপুর উপজেলাার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুণ্ডি মাদ্রাসাপাড়ার মৃত ফরিদ আলী মণ্ডলের ছেলে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২ নভেম্বর পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর আগেরদিন প্রতারক আবুল কাশেম ভেড়ামারা উপজেলার জনৈক চাকরি প্রার্থীকে নানাভাবে প্রভাবিত করে ১০ লাখ টাকা ‘এসপিকে’ ঘুষ দিতে রাজি করান। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করতে চাকরি প্রার্থী ও তার বাবাকে কুষ্টিয়ায় ডেকে নেন ওই প্রতারক চক্রটি। এরপর প্রতারক চক্রের সদস্য একজনকে পুলিশ সুপার (এসপি) এবং আরেকজনকে পুলিশ লাইন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।

এ সময় প্রতারক চক্রের তিনজনই সহজ সরল চাকরি প্রার্থী ও তার বাবাকে জানিয়ে দেন, লিখিত পরীক্ষার পরপরই টাকা দিতে হবে। এদিকে চাকরি প্রার্থীর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন, পুলিশের চাকরি পেতে কোনোভাবে অবৈধ টাকা বা ঘুষ লেলদেন হচ্ছে না। তারপরেও প্রতারক চক্রের সদস্য আবুল কাশেম বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে থাকলে চাকরি প্রার্থী ও তার পরিবারের লোকজন বুঝে ফেলেন, তারা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়তে যাচ্ছিলেন। পরে তারা বিষয়টি ভেড়ামারা থানায় অবগত করেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ ব্যাপারে ওই থানার এসআই দিপন কুমার ঘোষ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

দৌলতপুর-ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাতের তত্ত্বাবধানে আগেরদিন শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দিনেশ কুমার ও দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই অরুণ কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আবুল কাশেমকে এ উপজেলার আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।