মাদক মামলায় চার্জশিট হয়ে গেলেও বিসিবি’র পরিচালক পদে বহাল আছেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। গ্রেপ্তারের দুই মাস পার হলেও তার ব্যাপারে নীরব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোকমান যদি বিসিবি’র এতই প্রিয়পাত্র হয় তাহলে সরাসরি তার পক্ষে গিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। তা নাহলে পরিচালক পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা উচিত।
মাদক মামলায় চার্জশিটও দিয়েছে পুলিশ। মানি লন্ডারিং আইনেও আলাদা মামলা হয়েছে লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু বিসিবি’র টনক নড়েনি। পরিচালক পদে বহাল তবিয়তে আছেন লোকমান। বিসিবি কি চায়? সেটা অনেকবারই আকারে ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। লোকমানকে স্বপদে বহাল রেখে তার পক্ষেই যে অবস্থান নিয়েছে বোর্ড। সেটা বুঝতে কারো বাকী নেই।
তবে লোকমান জেলে থাকায় বিসিবি’র কর্মকান্ড তো আর থেমে নেই, সবই চলছে। তাহলে কেন অভিযুক্ত একজনকে দিনের পর দিন পদে বহাল রাখা। এ নিয়ে সবাই সমালোচনা করলেও বিসিবি একেবারেই নিশ্চুপ।
সাবেক ক্রিকেটার ওমর খালেদ রুমি বলেন, এটা কতদিন চলবে? এভাবে তো চিরকাল চলতে পারে না। এটা একটা উদাহরণ তৈরি করছে, যে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বললো আমি যা খুশি করবো।
এছাড়া ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নৈতিকভাবে হলেও বোর্ড পরিচালক পদে থাকতে পারেন না লোকমান। অন্য পরিচালকরাও কিভাবে সেটা মেনে নিচ্ছেন সে প্রশ্নও উঠেছে।
সাবেক ক্রিকেটার আরও বলেন, সবার কাছে একটা বাজে উদাহরণ হবে। সবাই বলছে প্রশাসন কিভাবে এমন হয়। এখন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এভাবে সারাজীবন চলতে পারে না। বোর্ড ডিরেক্টরা সবাই বসে একটা শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর তেজগাঁওয়ের মনিপুরী পাড়ার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ লোকমান ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিনই তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়।
ডিসেম্বর ৫, ২০১৯ at ২১:৫৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/সনি/এআই