ইসলাম শর্তসাপেক্ষে একজন পুরুষকে সর্বোচ্চ চারজন নারীকে বিবাহ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম স্ত্রী’র সম্মতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়েতে হেলিকপ্টারে করে কনের বাড়িতে এলেন যশোর জামেয়া ইসলামি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী (৫৬)। তিনি আল ফারুকী প্রপার্টিজের চেয়ারম্যানও।
সোমবার (১১ অক্টোবর) হেলিকপ্টার করে অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামে বিয়ে করতে আসেন ফারুকী। উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে খাদিজা পারভীন লিপির (৩৩) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। লিপির দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে বর মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে। তার প্রথম স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে হেলিকপ্টারটি দিঘিরপাড় গ্রামে অবতরণ করলে হাজার হাজার মানুষ বরকে দেখতে ভিড় করেন। বিয়ের মধ্যস্থতা করেছেন অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী মহিলা মাদরাসার সুপার আশেক এলাহী।
মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী বলেন, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুবই ব্যস্ত মানুষ। সময় বাঁচাতে হেলিকপ্টারে করে গিয়েছি। সমস্যার কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি।’
বিয়ের ঘটক আশেক এলাহী বলেন, দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে আসায় অনেক মানুষ ভিড় করে বিয়ে অনুষ্ঠান দেখেছেন।
বিয়েতে উপস্থিত থাকা শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা বলেন, খাদিজা পারভীন লিপির প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তার দুটি বড় ছেলেও রয়েছে। ছেলে দুটিকে দায়িত্ব নিয়ে মানুষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মেয়েটি বিয়েতে রাজি হয়েছে। বিয়ের পর ছেলে দুটিকেও হেলিকপ্টারে করে নিয়ে গেছেন মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী।
অক্টোবর ১৩.২০২১ at ১৭:২৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জানি/জআ