গভীর সমুদ্রের জেলেরা ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন

ছবি- সংগৃহীত।

তিনি আরও বলেন, গত ২ মাসে সাগরে গিয়ে ১০ লাখ টাকার উপরে লোকসানে পড়েছি এরমধ্যে আবহাওয়া খারাপ থাকায় কয়েকবার তীরে ফিরে আসতে হয়েছে। গত ১০ দিন আগে ভোলা থেকে মাছ শিকারে নেমে আজকে মাছ বিক্রি করতে এখানে এসেছি। আবার ১৫ দিনের বাজার নিয়ে সাগরে যাবো। এভাবে মাছ পাওয়া গেলে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারবো।

আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ফাহাদ ফিসের পরিচালক ফাহাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গভীর সমুদ্রের জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে আসছে এবং ভালো দামও পাচ্ছে। আজকের জাটকা প্রতি মণ ২১ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ২৮ হাজার, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৩৬ হাজার এবং ১কেজির উপরের ইলিশ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দামে জেলেরা খুশী থাকলেও পাইকারি ক্রেতারা প্রায়ই লোকসান গুনছেন।

আরো পড়ুন :

> শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি সবার, যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত
> রাজাপুরে ৬৯ লাখ টাকার সংষ্কার সড়কের পাথর উঠে একাকার, সৃষ্টি হয়েছে গর্ত!

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারকারী ট্রলারগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ফিরছে। তবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপকূলবর্তী জেলেরা। এর প্রধান কারণ হলো আন্দারমানিক ও রামনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন বেশ কয়েকটি ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে যে কারণে ইলিশ তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এখন ৬৫ দিনের অবরোধের সুফল পাচ্ছে জেলেরা তাই উপকূলের জেলেদের জন্য পরামর্শ থাকবে তারা যেন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের সরঞ্জামাদি তৈরি করে।

আগস্ট ১৭, ২০২৩ at ১১:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর