কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের সহকারী প্রকৌশলী অফিসারের নিজ গ্ৰামে, তার বাড়ির সাথে রাস্তা নিম্নমানের ইট ও ইটের খোয়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ঠিকাদার বলছেন, অফিসের চাপে কাজ করছি। সব বিষয়ে অফিস অবগত আছে।
৮০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২.৪ মিটার প্রসস্থ, এই রাস্তা নির্মাণে সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা? ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সালমান ইন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আতিকুর রহমান মিনুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির ফলে আমাদের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি কে না জানে। অফিসের নির্দেশ মোতাবেক কাজ চলমান আছে।
১৬ আগষ্ট বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত নির্মাণাধীন রাস্তার পাশে সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের বাড়ি। এলাকাবাসী মনে করেন, নিশ্চয়ই তিনি রাস্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন। যেহেতু তার বাড়ির সাথে রাস্তা, সেই হিসেবে রাস্তা নির্মাণ ভালো হওয়ার কথা। সেই ভাবে হচ্ছে না, অভিযোগ এলাকাবাসীর।
পাটাগ্ৰামের বাসিন্দা আ. লতিফ বলেন, খুবই নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। অনেক বার ঠিকাদারকে বলছি, কাজ হচ্ছে না। একই গ্ৰামের আঃ রশিদ ও বেলাল দোকানদার বলেন, ইটের মান ভালো না, নদী এলাকায় এই ধরনের কাজ টিকসই হবেনা। এলাকাবাসীর দাবি যথাসময়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে, আজকে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখাতে পারতো না। সময় ক্ষেপণ করে, যেনতেন ভাবে রাস্তা নির্মাণের ফলে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রাস্তাটি মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হবে। এই বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে কাজ বন্ধ আছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে, খোয়ার মান পরীক্ষায় ভালো রিপোর্ট এসেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ইটের এবং খোয়ার মান খারাপ মেনে নেয়া হবে না। উক্ত কাজের রিভাইজ ওয়ার্ক অর্ডার পাঠানো হয়েছে। পুণরায় কাজ শুরু হলে, সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে খেয়াল রাখব।
আগস্ট ১৬, ২০২৩ at ২০:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর
Like this:
Like Loading...