যশোর শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার মরহুম অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল ইসলামের একমাত্র ছেলে সংবাদ কর্মী সাইফুল ইসলাম জুয়েল মা ও বোনদের ষড়যন্ত্রে ভিটে ছাড়ার উপক্রম হয়েছেন। পারিবারিক ভাবে বসতবাড়ির জমি ভাগ-বন্টন করা হলেও মা ও বোনেরা মেনে না নিয়ে প্রায় বাড়িতে এসে হামলা মারপিট করেছেন।
বুধবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগে করেন ভুক্তোভোগী সাইফুল ইসলাম জুয়েল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী আইরিন হক ও মামা আব্দুর রাজ্জাকসহ এলাকবাসী।
লিখিত বক্তেব্যে সাইফুল ইসলাম জুয়েল জানিয়েছেন, শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকায় ১০ শতক জমি কিনে তার পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল ইসলাম বসবাস করতেন। ২০১৭ সালে পিতার মৃত্যু হয়। তার একমাত্র ছেলে আমি ও দুই বোন এবং মা সম্পত্তির ওয়ারেশ।
তিনি বলেন, পিতার মৃত্যুর এক বছর যেতে না যেতে মা তার দুই মেয়ের পক্ষ নিয়ে বাড়ি জমি ভাগ করে দিতে বলেন। এক পর্যায়ে আত্ময়ী স্বজন ও সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে প্রাপ্য অনুযায়ী বন্টন করা হয়।
এ বন্টন আমার মা ও দুই বোন মেনে না নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। মা বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় ভাড়া থাকেন। তার ঠিকানা দেননি আমাকে। মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে হুমকি, গালিগালাজ, ভাংচুর করে চলে যান। বাড়ির কাজ শুরু করলে মা ও দুই বোন পুলিশ নিয়ে এসে কাজ বন্দ করে দেন।
সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ বাড়ির জমি আবারও ভাগ-বন্টন করা হয়। এরপর আমার প্রাপ্য অংশে ঘর করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। এসংবাদ পেয়ে তারা এ বন্টনও মানেনা বলে জানিয়ে দেন। তারপরও আমি বাড়ির কিছু সংস্কার ও বাথরুম নির্মাণের কাজ শুরু করি।
৮ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার দুই বোন বাড়িতে এসে সংস্কার কাজ ও বাথরুম ভাংচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে বোনেরা আমার স্ত্রী ও ছেলেকে মারপিটের হুমকি দিয়ে দুই বোন চলে যান। যে কোন সময় আমার মা ও দুই বোন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।