সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দর এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ‘বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো’র ভেতরে মেঘনা ওয়েল কোম্পানির জ্বালানী তেলবাহী একটি লরির ইঞ্জিনে আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগায় পুরো এলাকা আতঙ্কিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ আগুন দ্রুত তেলবাহী ট্যাংকলরির কেবিন ও সামনের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লরির কেবিন ও সামনের সবগুলো চাকায় আগুন ধরে পুড়ে যায়।
আরো পড়ুন :
> বেড়া উপজেলায় ৯ আগস্ট ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী
> বঙ্গমাতার সমাধিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
খবর পেয়ে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ফায়ার সার্ভিস সহ ৩টি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পানিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় তারা প্রথমে রাসায়নিক ফোম ও পরে বালু ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর কর্মচারী ও স্থানীয়রা জানান, বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর ভেতরে মেঘনা ওয়েল কোম্পানির পয়েন্ট থেকে তেল উত্তোলন করে ট্যাংকলরিটি বগুড়ার দিকে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ লরিটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেলে তা মুহূর্তে কেবিন ও সামনের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোর শ্রমিকরা প্রাথমিক ভাবে আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। এদিকে আগুন লাগার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো বাঘাবাড়ি নৌবন্দর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের নৌ ফায়ার সার্ভিসের লিডার ফজলুল হক বলেন, বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর ভেতরে মেঘনা ওয়েল কোম্পানির জ্বালানী তেলবাহী একটি ট্যাংকলরির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কাজ শুরু করি। এরপর শাহজাদপুর ও বেড়া থেকে আরও ২টি ইউনিট এসে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেহেতু এটা দাহ্যপদার্থ তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে একটু সময় লেগেছে। আমরা প্রথমে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। পরে রাসায়নিক ফোম ও বালু ব্যবহার করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো ইনচার্জ ও যমুনা ওয়েল কোং এর ব্যবস্থাপক আবুল ফজল মোহাম্মদ সাদেকিন বলেন, এ অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোতে অবস্থিত জ্বালানী তেলের ট্যাংকার গুলো নিরাপদ দূরত্বে থাকায় কোন প্রভাব পড়ে নাই।
আগস্ট ০৮, ২০২৩ at ১২:৫৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর