শাহজাদপুরের গালা ইউপি সদস্য রন্জু সরদারের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউপি সদস্য রন্জু সরদারের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গালা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রন্জু সরদার তার নিজ গ্রাম তারুটিয়া জামে মসজিদের উন্নয়ন বাবদ জেলা পরিষদ থেকে সম্প্রতি ৩ লাখ (তিন) টাকা বরাদ্দ পায়। তিনি মসজিদ কমিটিকে মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। ওই অভিযোগে আরো উল্লেখ আছে যে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকেই ৭ থেকে ৮ হাজার করে টাকা নিয়ে ভুক্তভোগীদের কার্ড করে দেয় নাই। খাদ্য বান্ধব টিসিবি কার্ড বাবদ ২ হাজার, মাতৃকালীন ভাতা ও প্রধান মন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলেও ২০ হাজার করে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।

আরো পড়ুন :

> চোখের সামনে বউ-বাচ্চা ভাইসা গেল, কিছুই করতে পারলাম না
> ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৭৬৪

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী জানান, প্রকল্পের সভাপতি রন্জু মেম্বার আমাদের মসজিদ কমিটিকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমরা মসজিদের তহবিল থেকে আরো কিছু টাকা দিয়ে অজু খানা তৈরির কাজ শুরু করেছি। টাকার অভাবে বর্তমান কাজ বন্ধ আছে। পরে জানতে পারি জেলা পরিষদ থেকে ৩ লাখ টাকা মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য বরাদ্দ এসেছে। মেম্বর ৪০ হাজার টাকা মসজিদ কমিটিকে দিয়ে ২লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।

গালা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বাতেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই সদস্যের নামে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ নিয়ে এলাকাবাসী আমার কাছে এসেছে। আমি তাকে বারবার বলা সত্ত্বেও সে সংশোধন হয় নাই। তারুটিয়া জামে মসজিদের উন্নয়ন বাবদ ৩ লক্ষ টাকা জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ এসেছে। বরাদ্দকৃত টাকার ৪০ হাজার টাকা মসজিদ কমিটিকে দিয়ে বাকি টাকা প্রক্লপের সভাপতি রঞ্জু মেম্বার আত্মসাৎ করেছে।

এ বিষয়ে মুঠো ফোনে রন্জু মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কিছু লোক আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এরকম একটা মিথ্যে অভিযোগ করেছে। আমি প্রথম বরাদ্দ পেয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। ২য় বরাদ্দ পেলে ৩ লাখ টাকার কাজ বুঝে দেয়া হবে।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো. কামরুজ্জামান জানান, তারুটিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে মো. তয়জাল সরদার সহ গ্রামের ১৪৮ জন জনের স্বাক্ষর সহ একটা লিখিত অভিযোগ আমার দপ্তরে জমা দিয়েছে। গালা ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার কে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে উক্ত সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগস্ট ০৭, ২০২৩ at ১৩:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোআকু/ইর