১৩ দিনের ধর্মঘটের পর অনশনে জাবির দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা

টানা ১৩ দিনের অবস্থান ধর্মঘট শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা।

রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গত ১৭ জুলাই অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন, সেখানেই এখন তারা আমরন অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

আরো পড়ুন :

> বিএনপি’র নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শিবগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
> গোপালগঞ্জে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত

কর্মচারীরা জানান, ২০২০ সাল থেকে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি একই দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন ৬ মাসের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন তারা। তবে আশ্বাসের কোন বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারো অবস্থান ধর্মঘটে বসেন তারা, তবুও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোন আশ্বাস দেওয়া হয়নি। ফলে আবারো আমরণ অনশনে বসেছেন কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম হলের অফিস সহায়ক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘১৩ দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছি, তবুও চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো। চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য প্রয়োজনে জীবন দিবো।’

কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে এর আগে, অধ্যাপক রাশেদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন হলগুলোতে ইলেক্ট্রিশিয়ান, লিফটম্যান ও প্লাম্বার মিস্ত্রিসহ যেসব পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোতে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের আবেদনের যোগ্যতা মিলছে না। ফলে তারা আবেদনই করতে পারছেন না। তবে তারা যেসব পদে নিয়োগ চাইছেন, সেসব পদ খালি নেই।’

এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা বর্তমানে যেসব পদে কর্মরত, সেসব পদে নিয়োগের ব্যাপারে ইউজিসি’র অনুমতি নেই। নতুন করে পদ সৃষ্টি করে নিয়োগের সুযোগও নেই। তাই তাদের নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসব পদে নিয়োগের অনুমোদন পেলে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

জুলাই ৩০, ২০২৩ at ১৯:৪৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/নাউ/ইর