বাঁধন- স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন এর পবিপ্রবি (বরিশাল ইউনিট)-এর ১৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৪ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান পালিত হয় পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে।
২৬ জুলাই(বুধবার) থেকে ২৯ জুলাই(শনিবার) পর্যন্ত অনুষ্ঠানসূচিতে দেখা যায়, ১ম দিন কেক কাটা ও আনন্দ মিছিল কর্মশালা, ২য় দিনে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং এবং রক্তদাতার উপকারিতা-সচেতনতামূলক প্রচারণা ও লিফলেট প্রধান, ৩য় দিনে বাঁধন, কেন্দ্রীয় পরিষদের এজিএম-এর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হওয়া ও চা চক্র এবং ৪র্থ দিনে ডোনার ও সদস্য সম্মাননা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঁধনের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেনের পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার সহ বাঁধনের সাথে সম্পৃক্ত কলাকৌশলদেরকে।
এ বিষয়ে বাঁধন পবিপ্রবি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাব্বির হোসেন বলেন, “বাঁধন একটি রক্ত দানকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা রক্তদানে সকলকে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি বাঁধনের বিগত কার্যক্রমগুলো সকলের সামনে তুলে ধরছি। একে অন্যের পাশে দাড়িয়ে এক ভ্রাতৃত্বময় সমাজ গড়ে উঠুক সেটাই বাঁধনের প্রত্যাশা।”
আরো পড়ুন :
> নিখোঁজ হওয়ার ২১ দিনের মাথায়ও উদ্বার হয়নি ১৩ বছরের কিশোরী, ব্যার্থ উত্তরখান থানা পুলিশ
> ভাঁড়ারার চরাঞ্চলে কৃষিপণ্য পরিবহনে সাবমারসিবল রাস্তা আশির্বাদ : এমপি প্রিন্স
একসময় বরিশাল বিভাগে বিপুল জনগোষ্ঠীর রক্তের অভাবে আর্তনাদ শোনা যেত। সাধারণ মানুষের মাঝে ছিল না রক্তদানের উৎসাহ। এ ভয়ানক পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারেন পবিপ্রবির তৎকালীন কতিপয় শিক্ষার্থী। এরপর ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘বাঁধন’ পবিপ্রবি ইউনিট আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। শুরু থেকেই রক্তদাতা সেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বরিশাল বিভাগের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হল থেকে ১৯৯৭ সালে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদে প্রায় ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাতটি জোন, স্বতন্ত্র ইউনিটসহ মোট ১১২টি ইউনিট আছে। বাঁধনের নীতিমালায় প্রতিটি কমিটিতে ১৭ জন সদস্য থাকেন। সেই হিসেবে বর্তমানে কমিটির সদস্যসংখ্যা দুই হাজারের বেশি। সারা দেশে ছড়িয়ে আছেন লক্ষাধিক কর্মী। রক্তদানসহ শীতবস্ত্র বিতরণ, দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নানা সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে বাঁধন জড়িত।
শহীদুল্লাহ্ হলের সেই ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে বাঁধন এখন ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গত ২৬ বছরে প্রায় ২১ লাখ মানুষের রক্তের গ্রুপ বিনা মূল্যে নির্ণয় করে দিয়েছে বাঁধন, জোগাড় করেছে ১০ লাখের বেশী ব্যাগ রক্ত। সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন ২ হাজার ৪৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবী।
জুলাই ২৯, ২০২৩ at ১৯:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেহা/মেমহ