মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব

ছবি- সংগৃহীত।

দেশের অর্থনীতি বর্তমানে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। এই কঠিন সময়ে বাজেটে কঠিন কিছু ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা নেয়া হয়নি বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বার্ষিক উন্নয়ন ও বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা যে চমক দেখানো হয়েছে তা উচ্চাভিলাষী, বাস্তবসম্মত নয়।

আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়।

আরো পড়ুন :
> ফেনী সদরে ২মাদক কারবারি মাদকসহ আটক
> আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বাজেট হয়নি

ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, আমরা যদি বৈদেশিক আয়ের দিকে তাকায় তাহলে দেখব রেমিট্যান্স নিম্নমুখী। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কিন্তু নিম্নমুখী। বৈদ্যুতিক এবং জ্বালানি খাতে ব্যাপক একটা ঘাটতি দেখা গেছে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গত দুই অর্থবছরের উন্নয়নের যে সূচক দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। নতুন অর্থবছর ২০২৩-২০২৪ এ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরেও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছিল। পরে এটাকে নামিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।

আমরা যদি সরকারি বিনিয়োগের হার দেখি সেটা ৬ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অংশ হিসেবে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ ২০২৪ সালের জন্য ধরা হয়েছে। কিন্তু আসলে ২০২৩ সালে আমরা দেখেছি যেটা ধরা হয়েছিলো, সেটা কম হয়েছে এখন পর্যন্ত, এবং সেটা ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। এখান থেকে লাফ দিয়ে ২৭ শতাংশ কিভাবে হবে? সেটা আমাদের কাছে মনে হচ্ছে একটি উচ্চাকাঙ্খা।

জুন ০২, ২০২৩ at ১৬:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর