ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের

প্রচন্ড গরমে ঠাকুরগাঁওয় তালের শাঁসের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে সুস্বাদু এই তালের শাঁস গ্রামে যেমন বিক্রি হচ্ছে। তেমনি শহরের অলিগলিতে বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে অথবা ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করে ব্যস্ত সময় পার করছে তাল ব্যবসায়ীরা।
জৈষ্ঠ্য মাসের এমন তীব্র গরমে, তালের শাঁস খেয়ে একটু প্রশান্তির জন্য বিভিন্ন শ্রেনি ও বয়সের মানুষ ভিড় করছে তাল বিক্রেতার কাছে। তারা
নিজেদের পছন্দ মতো এক বা একাধিক তাল বেঁছে নেয়। তারপর তা নিয়ে চলে দর কশাকশি। দর চুড়ান্তের পড়েই বিক্রেতার কাজ শুরু। একের পর এক তাল কেটে তালের শাঁসটি বের করে। এর পর কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে খেয়ে থাকে।

আরো পড়ুন :
> ইশতেহারের আলোকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকনির্দেশ
> হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড সীমান্ত এলাকা দুর্গাপুর

আবার কেউ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের জন্য নিয়ে যায়। মিষ্টি এই তালের শাঁসের স্বাদ অতুলনীয়। তীব্র এই তপদাহে যে কোন পথিকের তৃষ্ণা মেটাতে দারুণ ভূমিকা পালন করে এই তালের শাঁস। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই বেচা বিক্রি।
তালের শাঁসের চাহিদা বেশি হওয়ায় এতে ব্যবাসায়ীরা অনেক লাভবান হচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ায় এতে খুশি বিক্রেতারা।
এই তালের শাঁস বিক্রি করে অনেকেই এখন তাদের জিবীকা নির্বাহ করছে।প্রতি পিচ তাল খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। পাইকাররা ভোলার ভেলুমিয়া,ব্যাংকের হাট,ভেদুরিয়া, বোরহানউদ্দিন ঘুইংগার হাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরে ঘুরে গাছ মালিকদের কাছ থেকে তাল সংগ্রহ করা হয়।
জানাযায়, ব্যবসায়ীদের তাল কেনার প্রক্রিয়া একটু ভিন্ন ধরনের। তারা গাছ হিসেবে অর্থাৎ একটি গাছে কত তাল আছে তা তারা প্রথমে অনুমান করে।তারপর প্রতিটি তালের মূল্য ৪ থেকে ৫টাকা দর নির্ধারন করে। গড়ে একটি গাছ ১২শ থেকে ১৫শ টাকা হারে গাছ মালিকদের কাছ তাল ক্রয় করে ।
রাজশাহী  শহরে বিভিন্ন জায়গায় খুচরা তাল ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, রাজশাহীতে তালের শাঁসের চাহিদ অনেক বেশী। কিন্তু অনেক দোকান হওয়াতে লাভ করতে পারি না তাই আমি ঠাকুরগাঁএয়ে চলে আসি। এখানে সকাল ১০ থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তালের শাঁস বিক্রি করি।
আমার প্রতিদিন ৫০০থেকে ৬০০ পিচ তাল বিক্রি হয়। পাইকাররা এখানে এসে আমাকে তাল দিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে প্রতি পিচ তাল ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে কিনে নেই। সেই তাল পরবর্তীতে খুচরা প্রতি পিচ ২৫ টাকা দরে বিক্রি করি। কখনো কখনো এর দাম ৩০ টাকা ও হয়।
আমি আগে রং মিস্ত্রির কাজ করতাম। এখন আর রংয়ের কাজ করি না। তালের শাঁসের চাহিদা ভালো সেই সাথে লাভ ও ভালো হওয়ার এখন তাল শাঁস বিক্রি করেই আমার সংসার চালাই।

জুন ০২, ২০২৩ at ১৪:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআ/ইর