রাতের আধারে স্থায়ী অভয়াশ্রমের মাছ চুরি

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক রাতে ভোলার ছড়া স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমের প্রায় ৩ লক্ষ টাকার দেশীয় জাতের মাছসহ অভয়াশ্রমের চারদিকের নিরাপত্তা বেষ্টনীর সরঞ্জাম চুরির খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা টি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা ভোলার ছড়া বিল এলাকার ভোলার ছড়া মৎস্য অভয়াশ্রমে। লিখিত অভিযোগ পেলে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. হারেসুল ইসলাম।

আরো পড়ুন :
>গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত কুবি
> রূপগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

মৎস্য অফিস সূত্র বলছে, সম্প্রতি সময়ে সরকারীভাবে ভোলার ছড়া স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা দেয় হয়। এতে সরকারী ভাবে মাছ ছাড়াও হয়েছিল। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে অভয়াশ্রমের চারদিকে সিমেন্টের খুটি, ৬টি সাইনবোর্ড, ১৫০ফিট দৈর্ঘ্যের ৫ নেট জাল, পতাকা-বেষ্টনী সহ পুকুরের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত ১৫মণ পরিমাণে বাশঝাড় ছিলো। এছাড়াও অভয়াশ্রমে দেশি জাতের প্রায় তিন লক্ষ টাকা মূল্যের মাছ ছিলো।

মাছ চুরি ও মৎস্য অভয়াশ্রমের চারদিকের নিরাপত্তা বেষ্টনীর সরাঞ্জাম চুরির খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় সুফলভোগী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাজিমুদ্দিন বলেন, এখানে মাছ ছিল প্রায় তিন লক্ষ টাকা মুল্যের। চারিদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিলো । আমি রাত সাড়ে এগারো টার দিকেও অভয়াশ্রমে যাই। তখনও ঠিক ছিলো। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে গিয়ে দেখি কোনো কিছুই নেই। ধারণা করা যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০জন লোক একসাথে এই কাজ করেছে। তা না হলে এত কিছু চুরি করার কথা । আর এটা অবশ্যই পরিকল্পিত।

অভয়াশ্রমের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত কাজ গুলো প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে করেন স্থানীয় ঠিকাদার মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, কাজ শেষ করেছি। কিন্তু এখনো বিল পাইনি। এর মধ্যেই এসব চুরি হয়ে গেলো।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান খান বলেন, বিলটিতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মাছ ছিলো। বিষয়টি আমি জানার পর ইউএনও স্যার ও থানার ওসি মহদোয়কে জানিয়েছি। ওখানে ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে তারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেবেন।  চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. হারেসুল ইসলাম বলেন, মৎস্য কর্মকর্তা আমাকে মাছ চুরির ঘটনাটি মৌখিক জানিয়েছেন। একটি অভিযোগ দেয়ার কথা। তবে এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান কে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

মে ২৬, ২০২৩ at ১৮:২১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/ইর