নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা অনিয়ম করার চেষ্টা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গকারী ব্যক্তি যে দলেই হোক না কেন, তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। অনিয়ম করলেই শাস্তি হবে। শাস্তি কী হবে, তা অনিয়মের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে। ব্যক্তি যে দলেরই হোক, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।
সম্প্রতি রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, শিল্প এলাকা হওয়ায় গাজীপুর সিটিতে বিভিন্ন ধরনের মানুষের বসবাস। তাই সেখানকার মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বেশি। তবে নির্বাচনী পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো। তবে কোনো থ্রেট না থাকলেও যেহেতু শিল্প এলাকা তাই দুষ্কৃতকারীরা বা অসৎ উদ্দেশ্য যাদের থাকে তারা যেন অন্যায় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে তাই অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে দৃষ্টি রাখছে।
৪৮০ কেন্দ্রের ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ : ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, গাজীপুরের ৪৮০টি কেন্দ্রের সবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫১টি কেন্দ্র। আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন :
> প্রচারযুদ্ধ শেষ, ভোটের অপেক্ষা: উৎসবমুখর গাজীপুর
> সনদ জালিয়াতি: ৬৭৮ শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির নির্দেশ, ফেরত দিতে হবে বেতন-ভাতা
তিনি জানান, ৫৭টি ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৭৪ জন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন। সেখানে র্যাবের ৩০টি টিম থাকবে। বিজিবি প্রায় ১৩ প্লাটুন থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স থাকবে। অর্থাৎ প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না হয়।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। আগামীকাল ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
মে ২৪, ২০২৩ at ১০:৪১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর