অফিস সহায়ক নিয়োগ দিয়ে দেড় কোটি টাকার অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ

ছবি- সংগৃহীত।

৬০ কমিউনিটি ক্লিনিকে অফিস সহায়ক নিয়োগ দিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে। আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ দিয়ে অর্থ বাণিজ্য করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। তবে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্যারাডাইজ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা সম্প্রতি যশোর সদরের ৬০ কমিউনিটি ক্লিনিকের ৬০ জন অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। শুধু তাই নয়, সদরের এক শীর্ষ জনপ্রতিনিধির নাম ব্যবহার করে আরো বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মীদের কাছ থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে কর্মী যোগদান করেছেন। আর কিছু লোক চলতি মাসের শেষ সময়ে যোগদান করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে একাধিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর এতে করে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। টাকা দিয়ে আউট সোর্সিং নিয়োগ পেয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার পরই বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।

সূত্র জানায়, দেয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে শিপাত নামে একজনকে গত ১৪ মে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আগামী ৩০ মে তপু নামে আরো একজনকে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অনুরুপভাবে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওয়াদাগা কমিউনিটি ক্লিনিকে রবিউল ইসলামকে ১৪ মে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে রায়হান নামে আরো একজনকে আগামী ৩০ মে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এভাবে বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে একাধিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন :
> কালীগঞ্জে কৃষকের এক বিঘা পটল ক্ষেত কাটল দুর্বৃত্তরা
> তৃণমূল আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করছে ‘আমি নই, আমরা‘ শ্লোগান

অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ এই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। তিনি প্রত্যেকের কাছ থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ এর বোন মাবিয়া খাতুন জলিকে হামিদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং বোন জামাই জাহিদুল ইসলামকে দাইতলা কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তবে ডা. মীর আবু মাউদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নিয়োগের সাথে কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মো. কাইয়ুম তালুকদার ও যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জড়িত। তারাই নিয়োগের সব ব্যবস্থা করেছেন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা আমার সাথে এসে পরিচয় হয়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, যারা নিয়োগ পেয়েছেন এদের সাথে সরকারের কোন লোকের যোগাযোগ নেই। ফলে কারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদেরকে আমি চিনি না এবং তাদের সম্পর্কে জানি না। ফলে এ সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না।

তার কাছে কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মো. কাইয়ুম তালুকদার এর ফোন নম্বর চাইলে তার কাছে নেই বলে জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, কারো এখনো পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমাদের কাছে উপর থেকে একটি অর্ডার এসেছে, আমরা সেটির উপর মতামত দিয়েছি। এখনো নিয়োগের কোন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

মে ২২, ২০২৩ at ২০:৪৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর