ঝিকরগাছায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিশাল আলোচনা সভায় শহিদুল ইসলাম মিলন

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে; যা মোটেও সহজ কাজ নয়। এসব একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সম্ভব হচ্ছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করা হয়েছিল, বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধুলিস্মাৎ করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই হারানো স্বাধীনতার চেতনাকে আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আবার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। তাই ১৯৮১ সালের ১৭ মে গণতন্ত্রের অগ্নিবীণা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪২ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী।

রোববার বিকালে ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক বিশাল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশাল এই আলোচনা সভায় বিকাল ৪টা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আসতে শুরু করে। বিকাল ৫টার মধ্যে উপছেপড়া ভিড় দেখা দেয় অনুষ্ঠানস্থল। দলীয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। মূহুর্তের মধ্যে আলোচনা সভা রুপ নেয় জনসভায়।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির। তিনি বলেন, প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর এক চোখে ছিল বেদনার অশ্রু আর অন্য চোখে ছিল আনন্দ অশ্রু।

আনন্দ অশ্রু ছিল এই কারণে যে, সেদিন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তার যোগ্যউত্তরসূরী প্রয়োজন। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার চোখেমুখে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিচ্ছবি দেখা দিয়েছিল। তাই বাংলাদেশ আজ তার হাত ধরে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।

ঝিকরগাছা কপোতাক্ষ নদের ব্রীজের পূর্বপাশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুলের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধাকালীন ফিল্ড কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধাকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমানুল কাদির টুল্লু, পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি অশোক দত্ত, ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন, হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মীর বাবরজান বরুণ, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আসাদুজ্জামান, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন, পানিসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল উসলাম, সাবেক কমিশনার নিমাই ঘোষ, উপজেলা যুবলীগ নেতা তাজউদ্দীন, সাদ আমিন রনি, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্নআহবায়ক শেখ ইমরান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্নআহবায়ক শামসুজ্জোহা লোটাস।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব ফিরোজ খান, অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, সামির ইসলাম পিয়াস, মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ইকবাল আহমেদ রবি ও শাহানা আক্তার, জেলা কৃষকলীগ নেতা আকবর হোসেন জাপানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার এনামুল কবীর, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তার, শাহ আলম মিন্টু, মুনিরুল ইসলাম মিশর, শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাস্টার আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, গদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক মাস্টার আদম শফিউল্লাহ, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক ইলিয়াজ মাহমুদ সহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, তরুণ লীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মে ২০, ২০২৩ at ২০:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এআ/ইর