দুমকিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে

ছবি- সংগৃহীত।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। বিভিন্ন এলাকার খাল, বিল, পুকুর ও জলাশায় গুলো ভরাটের কারণে দেশীয় মাছগুলো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় মাছের মধ্যে শিং, মাগুর, পাবদা, বোয়াল, কোড়াল, কৈ, শোল, টাকি, গজাল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। উঃ পাংগাশিয়া গ্রামের ইউনুস চৌকিদার বলেন, ছোট বেলায় আমাদের বাবা,দাদা ও পরিবারের যে কেউ এই দেশীয় প্রজাতির মাছ ক্রয় করত এবং খাল বিল পুকুর থেকে নিজ ইচ্ছায় ধরত। আংগারিয়া ইউনিয়নের জালিয়া বাড়ির জেলে শ্রীকান্ত বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির কারণ নদীতে কারেন্ট জাল, বেহুন্দিসহ বিভিন্ন জাল দিয়ে দেশীয় মাছের পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ ধরে মেরে ফেলে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ এবি ছিদ্দিক বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ুর কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম যখন হওয়ার কথা সে সময় না হয়ে অন্য সময়ে প্রজনন হওয়ার কারণে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। এছাড়া নদীতে অপরিকল্পিতভাবে কল-কারখানার ময়লা আবর্জনা নিস্কাশন হওয়ার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। জনসাধারণ এখন চাষযোগ্য মাছের উপর বেশীর ভাগ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পুকুরে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারি এবং বিদেশী প্রকল্পের অর্থ পেলে দুমকি উপজেলার বিভিন্ন জেলেদের দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর“ল ইসলাম বলেন, মশারীজাল, নেটজাল, চাই, বেলুন চাল, চরগরার জালসহ বিভিন্ন প্রকারের জাল গুলো পেতে দেশীয় প্রজাতির মাছগুলো মেরে ফেলছে। এ ব্যাপারের সরকার বিভিন্ন প্রকার জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করেন্ । তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষনের ক্ষেত্রে একটি প্রকল্প থাকলেও পটুয়াখালী জেলায় এটিনেই।

মে  ১৯, ২০২৩ at ১২:৪৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোজউ/ইর