ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে ডেকে নিয়ে হত্যা, ৫ মাস পর লাশ উদ্ধার

ছবি- সংগৃহীত।

অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয় আমির হোসেনকে (২৫)। লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে।

ঘটনার পাঁচ মাস পর বুধবার (১৭ মে) পুলিশ গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এ ঘটনার একমাত্র অভিযুক্ত তারেক আহমেদকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন জানান, শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিম খন্ড (দারোগাচালা) এলাকার রহিম মোল্লার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় আমিরের গলে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার তুলাচারা গ্রামে। তিনি রাজধানীর আঁশকোনা এলাকায় থাকতেন। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওই এলাকা থেকে নিখোঁজ হন আমির। বহু খোঁজাখুঁজির পর গত ১৩ এপ্রিল ভুক্তভোগীর বড় ভাই দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আমিরের সঙ্গে পরিচয় হয় তারেক আহমেদ নামে একজনের। তারেক পোশাক শ্রমিক পরিচয়ে শ্রীপুরের পশ্চিম খন্ড এলাকায় মনির হোসেনের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। মূলত সে ছিল ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।

পরিচয়ের সূত্রে আমিরকে শ্রীপুরের বাসায় ডাকে তারেক। গত ২৫ ডিসেম্বর সেখানে গেলে আমিরকে জিম্মি করে তার ভাইয়ের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে রাখে তারেক।

জিম্মি অবস্থায় ভুক্তভোগীর স্বজনরা আর যোগাযোগ না করলে তিন দিন পর (২৮ ডিসেম্বর) আমিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মরদেহ বস্তায় ভরে পাশের বাড়ির রহিম মোল্লার পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর তারেক নোয়াখালীর হাতিয়ায় চলে যায়। বুধবার সকালে উপজেলার তাজুল ইসলাম জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তারেকের বাড়ি নাটোর সদরের রুয়েরবাগ গ্রামে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীপুর থানার সহায়তায় আমিরের লাশ উদ্ধার করে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ।

দক্ষিণ খান থানার এসআই রেজিয়া খাতুন বলেন, নিহতের বড় ভাই বিল্লাল হোসেনের করা অপহরণ মামলায় পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত তারেকের খোঁজ পায়।

মে  ১৮, ২০২৩ at ১৯:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর