সব বস্তি-মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে, আশ্বাস মেয়রের

ছবি- সংগৃহীত।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার সব বস্তি ও বিভিন্ন মার্কেটে আগুন নেভাতে ফায়ার হাইড্রেন্ট (বিশেষায়িত পানির কল) বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এই কলটি রাস্তার ধারে স্থাপন করা হয়। আগুন নেভাতে এতে লাগানো ভাল্ব খুলে উচ্চচাপের পানি সরবরাহ নেন ফায়ারকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মহাখালীর সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র আতিক এ কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, “বস্তিগুলোয় প্রায়ই আগুন লাগে। যেকোনো জনবসতিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকতেই হবে। আবার শুধু ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকলেই হবে না, তার সঙ্গে ফায়ার ড্রিল করতে হবে, যারা আগুন লাগলে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবে। আমরা পুরো সব বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারি নাই। কিন্তু এটা অত্যন্ত খুশির বিষয় যে আজ আমরা কড়াইল বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসি এলাকার সব বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হবে।”

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, “সাততলা বস্তিতে যে হাইড্রেন্ট করা হয়েছে তাতে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এরমধ্যে ২০ হাজার লিটার পর্যন্ত পানি বস্তির মানুষ গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ৪০ হাজার লিটার পানি সংরক্ষিত থাকবে আগুন নেভানোর জন্য। আগুন লাগার পর এই পানি অন্তত ৪০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “চৌবাচ্চায় পানি থাকবে, হোস পাইপ থাকবে। পাম্প থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি দিতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থাপনায় ১৭ জন কর্মী থাকবে। আগুন লাগলে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ড্রিল যারা করেছেন তারা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন। আগুন নেভানোর পাশাপাশি বস্তিবাসীদের নিরাপদে বের হতেও সাহায্য করবেন তারা।”

নগরপ্রধান বলেন, বস্তির টিনের ঘরের চালে রোদ পড়লে তা প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এটা ঠেকাতে টিনের ঘরগুলোর ফাঁকে ফাঁকে গাছ লাগানো যায় কিনা তা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে।

মে  ১৮, ২০২৩ at ১৮:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর