বিল গেটস: কাজের বাইরেও মানুষের আলাদা একটা জীবন আছে

ছবি- সংগৃহীত।

এমনও মনে হতে পারে যে এখন যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটাই স্থায়ী। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। আগামীকাল তুমি যা করবে- বা আগামী দশ বছর ধরে যা করবে, তা-ই যে সারাজীবন করতে হবে এমনটা নয়।

জীবনের স্থায়ী কোনো সাফল্য নেই; মানুষের কাজ তার সময়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নিজের ও আশপাশের মানুষদের জীবনকে সহজ করে তুলতে কাজ করা। তবে কাজের বাইরেও একটা জীবন থাকে, অবকাশ দরকার। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিলেনে সারাজীবন কাজের পেছনে ছুটে বার্ধক্যে পা রাখা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস।

মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি নর্দার্ন অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া এক বক্তৃতায় জানান, তারুণ্য পেরিয়ে বার্ধক্যে পা রাখার আগ পর্যন্ত তিনি উপলব্ধি করতে পারেননি যে কাজের বাইরেও মানুষের আলাদা একটা জীবন রয়েছে।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যখন আমি তোমাদের মতো বয়সে ছিলাম, তখন অবকাশ যাপনে বিশ্বাস করতাম না। ছুটি নেওয়াতে বিশ্বাস করতাম না। আমার আশপাশের সবাইকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতাম।”

৬৭ বছর বয়সী এই বিজনেস ম্যাগনেট জানান, মাইক্রোসফটের শুরুর দিনগুলোতে তিনি কর্মজীবনে ভারসাম্য আনার গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। বলেন, “আমার এই শিক্ষাটা পেতে যতদিন সময় লেগেছে, তোমরাও এত দীর্ঘ সময় নিও না। সম্পর্কগুলোকে যত্ন, সফলতা উদযাপন ও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নিজেকে সময় দাও। প্রয়োজন মনে হলেই বিরতি নাও।”

কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করতে সময় নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “এই মুহূর্তে হয়ত ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তোমাদের কাছে অনেক বড় একটা চাপ মনে হবে। এমনও মনে হতে পারে যে এখন যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটাই স্থায়ী। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। আগামীকাল তুমি যা করবে- বা আগামী দশ বছর ধরে যা করবে, তা-ই যে সারাজীবন করতে হবে এমনটা নয়।”

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তোমরা এমন এক সময়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছ যখন মানুষকে সাহায্য করার বিপুল সুযোগ তোমাদের সামনে রয়েছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শিল্প ও কোম্পানি গড়ে উঠছে, যেখানে তোমরা জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি বিশ্বে পরিবর্তন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আগের যেকোনো সময়ের চাইতে এখন কোনো বিষয়ে বড় প্রভাব রাখা সহজ হয়ে উঠেছে।

মে  ১৮, ২০২৩ at ১৮:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর