আনসার প্রত্যাহারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি

ছবি- সংগৃহীত।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে আমার বাসা ও বাসাসংলগ্ন অফিসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার বাহিনীর ৬ জন সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সিলেটে নতুন যোগদান করা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার। এতে আমার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। মৌখিক বা লিখিত- কোনোভাবেই আমাকে বা সিসিকের কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অথচ গত ৬ বছর ধরে মাসিক বেতনের বিনিময়ে আনসার বাহিনীর ২৪ জন সদস্যকে নগরভবন ও আমার বাসার অফিসসহ সিসিকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

নগরভবনে গতকাল বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মেয়র আরিফ।

তিনি আরো বলেন, প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালীন আমাকে সরকার থেকে দুজন গানম্যান দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরের মেয়াদে তাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরপর নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকায় মাসিক চুক্তিতে আনসার বাহিনীর ২৪ জন সদস্যকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়। তারা শিডিউল করে সিসিকের পানি শোধনাগার ও যান্ত্রিক শাখাসহ (সিসিকের বিভিন্ন গাড়ি ও মেশিন রাখার স্থান) গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন। তাদের মধ্য থেকে ৬ জনকে আমার বাসা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে এই ৬ জনকে প্রত্যাহার করে নেয়ায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া আমার বাসাসংলগ্ন অফিসে রাখা সিসিকের লাখ লাখ টাকার মালামাল এখন অনিরাপদ। এটা অতি উৎসাহী হয়ে এই বাহিনীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রশাসনের অতি উৎসাহী কতিপয় কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড খোদ সরকারকেও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে। আমার বাসার নিরাপত্তা সদস্যদের কিন্তু সরকারের নির্দেশনায় প্রত্যাহার করা হয়নি।

আগামী সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র আরিফুল হক বলেন, স¤প্রতি আমি মহানগরের যেখানে যাচ্ছি এবং আমার সঙ্গে যারা ছবি পর্যন্ত তুলছেন, দেখা যাচ্ছে রাতের বেলা তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকে রিমান্ডে পর্যন্ত নিচ্ছে। আমি তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শপথ করিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা এমন একজন জনপ্রতিনিধিকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয় সেটিও সম্ভবত ভুলে গেছেন।

মে  ১৮, ২০২৩ at ১১:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর