বিসিএসে পদ ২,৩০৯টি, ভোরে কেবল ঢাবির লাইব্রেরিতে লাইন দুই হাজার জনের

ছবি- সংগৃহীত।

আগামী ১৯ মে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর একটি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন প্রায় ১৩৭ জনেরও বেশি চাকরিপ্রত্যাশী।

দেশে বর্তমানে মোট বেকার প্রায় ২৬ লাখ। এ বছরের প্রথম তিন মাসে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার। বেকারদের জনসম্পদে রূপান্তরে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আছে। এছাড়া কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। তারপরও অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনিরাপত্তার জায়গা থেকে তরুণরা সরকারি চাকরির পেছনেই বেশি ছোটেন। বিশেষ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার দিকে ঝোঁক বেশি তাদের।

তবে বিপুলসংখ্যক চাকরিপ্রত্যাশীর চেয়ে বিসিএসে পদসংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। আগামী ১৯ মে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর একটি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন প্রায় ১৩৭ জনেরও বেশি চাকরিপ্রত্যাশী।

সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য বলছে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর পিএসসির ওয়েবসাইটে ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আবেদনের জন্য প্রায় এক মাস সময় পান প্রার্থীরা। এই বিসিএসে মোট আবেদন করেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার প্রার্থী।

৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ৪৫তম বিসিএসে ২,৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১,০২২ জনকে।

বিসিএস প্রিলিমিনারি বলা চলে রাত পোহালেই। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও চাকরিপ্রত্যাশীরা শেষ সময়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। দেশের উচ্চশিক্ষার সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সেই দৃশ্যই দেখা গেছে। সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশীদের ভীড় বেড়েছে। সেখানে ভোর থেকেই ব্যাগ রেখে সিরিয়াল নেন প্রত্যাশীরা। তাদের হাতে বিসিএসভিত্তিক বিভিন্ন বইপত্র দেখা গেছে। এই লাইব্রেরিতে একসঙ্গে বসে পড়ার মতো সিট রয়েছে দেড় হাজার জনের। তবে প্রত্যেকদিন সেখানে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাবির লাইব্রেরির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, গ্রন্থাগারে এখন যারা পড়তে আসেন, তাদের বেশির ভাগই বিসিএস প্রার্থী। পড়তে আসা গবেষকের সংখ্যা খুবই কম। এই গ্রন্থাগারের ধারণক্ষমতা ১,৫০০ জনের। তবে একসঙ্গে ২,০০০ জন পড়তে পারেন।

মে  ১৭, ২০২৩ at ২১:১২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর