এঘটনায় এক এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ ৩জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত তিন জন বর্তমানে চিলমারী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। এরপরই হতাহতের খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। মারধর ও পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বহরের ভিটা এলাকায়।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সময়ে আব্দুল করিম তার বাড়ির নিরাপত্তার জন্য টিন দিয়ে বাড়ির সীমানা ঘিরে নেয়। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সকালে আব্দুল মজিদ ও তার পরিবারের লোকজন সীমানা প্রাচীর টিন ভেঙে দিতে আসলে আব্দুল করিমের দুই ছেলে বাঁধা দিলে মজিদ পক্ষ অর্তকিত হামলা চালায় এতে এসএসসি পরিক্ষার্থী সহ তিন জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় আব্দুল করিমের রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় আব্দুল মজিদ পক্ষের লোকজন। পরে স্থানীয়রা দমকল বাহিনীকে খবর দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা দমকল কর্মী জানান, সকালে আগুন লাগার খরব পেয়ে একটি ইউনিট গিয়ে রান্নাঘরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুণের সূত্রপাত কোথা থেকে এমন প্রশ্নে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, লোকজন বলছিলেন দুইপক্ষের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আগুন লাগিয়ে দেয়। এমন ঘটনা শুনে আমরা চিলমারী মডেল থানাকে বিষয়টি অবগত করে চলে আসি। আহত আব্দুল করিমের স্ত্রী রওশন আরা বলেন, আজ সকালে আব্দুল মজিদ, মতিয়ার, মন্জু, ফরহাদ, মিনহাজুল কুড়াল, দা দিয়ে আমাদের বাড়ির সীমানা ভেঙে দিতে আসে। এত আমার দুই ছেলে বাধা দিতে গেলে কুড়াল দিয়ে ছোট ছেলে আজিজুলের মাথায় কোপ দেয় । এরপর তারা আমার বড় ছেলেকেও আঘাত করে। সাথে আমার স্বামী কে রেধরক মারধর করে। আমরা বিভিন্নভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়ে আসছি ওই পরিবারের কাছে। এর আগেও তারা আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এসব ঘটনারপর চেয়ারম্যান মেম্বার বাড়ির সীমানা ঠিক করে দেন।
তিনি আরও বলেন, আহত স্বামী-ছেলেকে হাসপাতালে নিতে ব্যস্ত এই সুযোগে মজিদের স্ত্রী ফলোরাণী ও আরেকজন জাহানারা রান্না ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। আমরা এর বিচার চাই। এঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি।
মে ১৫, ২০২৩ at ১৯:২৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/ইর