ঝিনাইদহে ইসলামিক বক্তার নামে গুজব রটিয়ে ক্ষমা চাইলেন মহিলা

ঝিনাইদহের আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও স্কলার মুফতী মাহফুজু্র রহমান হাকিমপুরীর বিরুদ্ধে গুজব রটানো মহিলা সাবিনা আক্তার ক্ষমা চাইলেন। সোমবার (১৫ মে) দুপুরে শৈলকুপার হাকিমপুরে মহিলার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
গুজব রটানো সাবানা আক্তার হাকিমপুর গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী। ক্ষমা চেয়ে বলেন, আমি সুমাইয়া নামে মাহফুজুর রহমান হাকিমপুরী হুজুরের মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী নিয়ে মানুষের থেকে শোনা কথা প্রচার করেছি। আসলে ওনি একজন হুজুর মানুষ।  দেশ বিদেশের অনেক মানুষ তার ওয়াজ শোনে। যা কিছু শুনেছিলাম বলেছিলাম স্বীকার করছি তা সবই মিথ্যা মিথ্যা মিথ্যা। মানুষ যা বলেছে আমি তাই প্রচার করেছি তার জন্য দুঃখিত।

আরো পড়ুন :
>সাংবাদিক আবেদ খানকে দশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ
> কুবিতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ‘মুক্ত আলোচনা’ সভা অনুষ্ঠিত

তিনি আবারো বলেন, ‘আসলে আমারই ভুল হয়েছে। ভিকটিমদের ডেকে আমি কোন ভিডিও নেইনি এসব মিথ্যা। এছাড়া কে ভিকটিম কে কি আমি এসব জানিনা। আমি গুজব রটানোর জন্য ক্ষমা চেয়েছি এখন অনুরোধ আর এই নিয়ে প্রশ্ন কইরেন না বলে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তিনি।’
এ বিষয়ে ভিকটিম শিক্ষার্থী সুমাইমা বলেন, ‘ আমরা যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করি সেখানে শিক্ষক মাহফুজ হুজুরের স্ত্রী। হুজুর বাড়িতে এলে মাদ্রাসার সবাইকে বলে মুনিরা তোমরা দোয়া পড়ে ঘুমাবা ও আরো অনেক ভালো কথা বলে। তিনি অনেক ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে যেসব কথা রটাচ্ছে এসব মিথ্যা।’
এ বিষয়ে মাহফুজুর রহমান হাকিমপুরী বলেন, ‘ গুজব নিয়ে আমি কী বলবো। আমার শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে দুই একজন আজে বাদে কথা গ্রামে বলছে। যেসব কারণে আমি খুবই বিব্রত।  আমাকে বিভিন্ন সাংবাদিক, থানা ও সংস্থা যোগাযোগ করেছে, তাদের বলে দিয়েছি আপনারা তদন্ত করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গুজব রটানো নিয়ে মহিলাটি জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু আমার অনেক মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন সারাদেশে আমি মাহফিল করি। এবিষয়ে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ চেয়েছি।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। তার বিষয়টা নিয়ে কোন সত্যতা মেলেনি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

মে  ১৫, ২০২৩ at ১৯:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রাআঅ/ইর