‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হচ্ছে ২০ মে

ছবি- সংগৃহীত।

আগামী ২০ মে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন।

সোমবার (১৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আম পরিবহন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তারা এ তথ্য জানান।

একেএম গালিভ খাঁন জানান, সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ থেকে কুরিয়ার সার্ভিসে একই খরচে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন জেলার জেলা প্রশাসকরা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই তিন জেলা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, এবার ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ ট্রেনে ৯টি করে ওয়াগন থাকবে। এছাড়া আম পরিবহন ও বাজারে সতর্ক অবস্থায় থাকবে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। আমের বাজারে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে দমন করা হবে। সড়কে আম পরিবহনে কোনো ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। এমনকি কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্যান্য পরিবহনে বেশি ভাড়া নিলে বা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, কুরিয়ার বা অন্যান্য পরিবহনে আম পাঠানোর সময় জেলা থেকে যাতে কোনো ধরনের অবৈধ কিছু যেতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সকল আম ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়া আম পরিবহন করা যানবাহনে অবশ্যই একটি স্টিকার থাকবে। অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে গত বছর পাঁচটি ওয়াগন ছিল। এবার ৮-৯টি ওয়াগন থাকবে। প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হতে পারে। আম পরিবহনের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে দুইটি ট্রেন থাকবে। একটি ট্রেন যাবে, আরেকটি আসবে। গত বছর ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে কোনো আম পচার ঘটনা ঘটেনি। এই ট্রেনে আম ছাড়াও বিভিন্ন ফলমূল ও কৃষিপণ্য পাঠাতে পারবেন কৃষক ও উদ্যোক্তারা।

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি বছর ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়। গত মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১ সালে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে।

মে  ১৫, ২০২৩ at ১৬:৪৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর