কক্সবাজারে ১২ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত, প্রাণহানি ঘটেনি: ডিসি

ঘূর্ণিঝড় মোখা তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের ভূখন্ড ত্যাগ করলেও রেখে গেছে ধ্বংস চিহ্ন। শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপেই বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার ২০০ বাড়িঘর। এছাড়াও কক্সবাজার জেলাজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারেরও অধিক বাড়িঘর। বেশকয়েকজন মানুষ আহত হলেও কারো নিহত হবার খবর পাওয়া যায়নি। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশের উপকূল থেকে দিক পরিবর্তন করে মিয়ানমারের ভূখন্ডে প্রবল আঘাত হানে।

রোববার (১৪ মে) ভোর রাত থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কক্সবাজার জেলাজুড়ে লক্ষ্য করা যায়। ভোর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। দিন বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। সে সাথে দমকা ও ঝড় হওয়াও শুরু হয়। এভাবেই চলেছে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রায় সবক’টি কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। পুরো কক্সবাজার জেলায় ১২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। তবে আহত হলেও নিহত হওয়ার কোনো ঘটনা নেই। উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

দু’লাখ ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল আশ্রয় কেন্দ্রে। রোববার সন্ধ্যার পর তারা ফিরে গেছে নিজেদের বাড়ি ঘরে। সব মিলিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় এক রাত এক দিন কেটেছে কক্সবাজার উপকূলবাসীর।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান জানান, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, কক্সবাজার জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দু’হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত এবং ১০ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে এক হাজার ২০০ কাচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলার ৭৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৬৭টি হোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছিল। এসব কেন্দ্রে দু’লাখ ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন।

মে  ১৪, ২০২৩ at ২১:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর