সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল এখন আশ্রয়কেন্দ্র

ছবি- সংগৃহীত।

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “মোখা” আরও শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে জেলার পর্যটনকেন্দ্র সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন থেকে অন্য জেলার লোকজনকে ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হবে। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে সাত হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯টি মেডিকেল টিম। দেড় শত মেট্টিক টন চাল, ৬.৯ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার নগদ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত আছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।

আরো পড়ুন :
> মারা গেলেন কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ
> জামিন পেতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান

কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে কুতুবদিয়া, ধলঘাটা, মাতারবাড়ী দ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। এ অঞ্চলের বাসিন্দারা বেশ ঝুঁকিতে আছেন।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, মোখার প্রভাব মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

লবণের মাঠে থাকা লবণ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।  সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে নামতে বলা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীদের সার্বক্ষণিক নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানিয়েছেন সৈকতে আগত পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ক্যাম্পগুলোতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। আজ সকালে এ বিষয়ে একটি প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবদুর রহমান জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

মে  ১২, ২০২৩ at ১৬:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর